চিনি খাওয়া কমাতে চাইলে যা করবেন

খাওয়ার শেষে ডেজার্ট কিংবা মিষ্টি জাতীয় খাবার কার না ভালো লাগে? অথচ চিনিপূর্ণ যেকোনো খাবার যে স্বাস্থ্যের জন্যে মহাহুমকি তা আমরা সবাই জানি। আবার মিষ্টি খাবারের প্রতি আমাদের রয়েছে নেশা।

তাই সবাইর উচিত চিনি খাওয়া কমিয়ে দেওয়া কিংবা এ অভ্যাস থেকে বেরিয়ে আসা, তেমনটাই মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। বিশেষ করে যাদের এসব মিষ্টি খাবারের প্রতি খুব বেশি আকর্ষণ রয়েছে তাদের বদভ্যাস ত্যাগের উপায় বাতলে দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।

পানি
গবেষণায় দেখা গেছে, বেশি বেশি পানি খেলে মিষ্টি খাবারের প্রতি আগ্রহ কমে যায়। এমনিতেই পর্যাপ্ত পানি খাওয়া জরুরি। এ ছাড়া মিষ্টি খাওয়ার ইচ্ছা হলেই আপনি পানি খাবেন বেশি করে। এতে আর মিষ্টি খেতে মন চাইবে না।

প্রাকৃতিক মিষ্টি
সাধারণ চিনির চেয়ে প্রকৃতি থেকে পাওয়া যেকোনো চিনি থেকে ৩০০ গুণ বেশি মিষ্টি স্বাদ মেলে। ফল বা অন্যান্য মিষ্টি প্রাকৃতিক খাবারেই রয়েছে এই চিনি। কাজেই সেগুলো খান। এই চিনি রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা বাড়ায় না।

সবুজ খাবার
যেকোনো সবুজ খাবারকে ‘হ্যাঁ’ বলুন। যখনই চিনিপূর্ণ মিষ্টি খাইতে মন চাইবে তখনই চোখ বন্ধ করে সবুজ খাবরের কথা চিন্তা করবেন। এভাবেই চিনির আকর্ষণ চলে যাবে বলে মত দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। খেতে মন চাইলে একবাটি সবজি নিয়ে বসে পড়ুন।

সুখের হরমোন
চিনি খেলে কিছুটা সুখানুভূতি আসে। সেখানেই তৃপ্তি। দেহ-মনে সুখানুভূতি সৃষ্টি করে সেরোটনিন হরমোন। কেবল যে চিনিই এ কাজটি করে তা নয়। আপনি খেলাধুলা, ব্যায়াম ইত্যাদির মাধ্যমেও দেহে সেরোটনিন হরমোনের পরিমাণ বাড়াতে পারেন। তখন মিষ্টি খাবারের প্রতি আগ্রহ কমে আসবে।

সামুদ্রিক খাবার
দেহে খনিজের ঘাটতি যথাযথভাবে পূরণ হলে চিনির প্রতি আকর্ষণ কমবে। গবেষকরা বলেন, সামুদ্রিক খাবার খেলে চিনির প্রয়োজন অনুভূত হবে না।

প্রক্রিয়াজাত খাবারকে ‘না’
এসব খাবার ত্যাগ করতে হবে। কৃত্রিম চিনি যেখানে রয়েছে সেসব খাবার মস্তিষ্কের ‘নিউক্লিয়াস অ্যাকুম্বেন্স’ নামের অঞ্চলকে উত্তেজিত করে। বলা হয়, প্রক্রিয়াজাত খাবার খুব সহজেই মস্তিষ্ককে প্রভাবিত করে। তাই এটা থেকে বাঁচতে এসব খাবার ত্যাগ করতে হবে।

মেডিটেশন
এ কাজটি দেহ-মনের জন্যে খুবই ভালো। এমনকি চিনির প্রতি অতি আগ্রহ থেকেও বাঁচাতে পারে আপনাকে। নিউরোবিজ্ঞানীদের মতে, মেডিটেশন স্ট্রেস নিয়ন্ত্রণ করে। ফলে চিনির নেশা গ্রাস করে না আপনাকে।

ফার্মেন্টেড খাবার
প্রাচীন চাইনিজ চিকিৎসাপদ্ধতি বলে, আঁচারের মতো বানানো ফার্মেন্টেড খাবারে আছে প্রোবায়োটিক। এগুলো দেহে চিনির মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে। সেই সঙ্গে এই ক্ষতিকর খাবারের প্রতি আগ্রহও কমিয়ে দেয়। তাই আঁচার খেতে পারেন। যেকোনো খাবারের স্বাদও বাড়ায় তা।