চিনি দিয়ে কাশ্মীরি মধু বানাতেন নেতার ছেলে!

সেই ২০০৮ সাল থেকে মধুতে চিনি মিশিয়ে বিক্রি করছিলেন তিনি। নাম দিয়েছিলেন ‘কাশ্মীরি পদ্মা মধু’। নয় বছর ধরে লোকজনকে ভেজাল মধু খাওয়ালেও তিনি ছিলেন ধরা-ছোঁয়ার বাইরে। সেই ভেজাল ব্যবসায়ী এবার ধরা পড়েছেন।

তাঁর নাম আসিফ হোসেন খান। তিনি ময়মনসিংহ মহানগর আওয়ামী লীগের প্রস্তাবিত ও সাবেক কমিটির তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক বুলবুল আহমেদের ছেলে। বাসা শহরের কাচিঝুলি এলাকার ইটাখোলা রোডে।

চিনি দিয়ে মধু তৈরি ও বাজারজাত করার দায়ে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এমডি শামসুল আরেফিন বুধবার দুপুরে ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে আসিফ হোসেন খানকে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করেন। একই সঙ্গে কারখানার মালামাল জব্দ ও ধ্বংস করে কারখানাকে সিলগালা করে দেন।

একই অভিযানে আসিফদের বাসার নিচতলায় অনুমোদনহীন গবাদি পশুর ওষুধ তৈরির দায়ে ব্যবসায়ী ও মহানগর তাঁতী লীগের সভাপতি এ কে এম আনিসুর রহমান দুলালকে ৮০ হাজার টাকা জরিমানা করেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। তাঁর কারখানার মালামালও জব্দ ও ধ্বংস করে কারখানাকে সিলগালা করা হয়েছে।

অভিযানে ছিলেন র‍্যাবে কর্মরত সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) গৌতম দেব ও ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের সুপারিনটেনডেন্ট সাখাওয়াত হোসেন রাজু আকন্দ।

আনিসুর রহমান দুলাল জানান, তাঁর ‘এপি ফার্মা’য় ২০১২ সাল থেকে গবাদি পশু চিকিৎসার জন্য চারটি ওষুধ তৈরি করা হচ্ছে। তবে এসব তৈরির জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কোনো অনুমোদন তাঁর ছিল না।

আসিফ হোসেন খান তাঁদের পাশের বাসায় ২০০৮ সাল থেকে কারখানা দিয়ে ভেজাল মধু ও গোলাপজল তৈরি করছিলেন।