চীনকে হারিয়ে লক্ষ্য পূরণ বাংলাদেশের

শেষ শ্যুটআউট নিতে রাসেল মাহমুদ জিমি যখন এগিয়ে গেলেন স্পটের দিকে তখন মাঠের মাঝখানে মাহবুব হারুন তাকিয়ে অন্য পোস্টের দিকে। টেনশনটা নিতে পারছিলেন না বাংলাদেশ হকি দলের প্রধান কোচ। মওলানা ভাসানী স্টেডিয়ামে তখন পিনপতন নীরবতা। মাঠের মাঝে পরস্পরের কাঁধে হাত রেখে রুদ্ধশাস অপেক্ষা খেলোয়াড়রদের। চীনের গোলরক্ষককে কাটিয়ে জিমি যখন বলটি জালে ঠেলে দিলেন তখন মওলানা ভাসানী স্টেডিয়াম হয়ে গেল এক টুকরো বাংলাদেশ। রোমাঞ্চকর এক জয়ে জিমিরা ভুলিয়ে দিলেন আগের সব ব্যর্থতা।

গোল করেই জার্সি খুলে প্যাভেলিয়নের দিকে দৌড় দিলেন লাল-সবুজ জার্সিধারীদের অধিনায়ক। বেশি দূর যেতে পারেননি জিমি, মুহূর্তেই জিমির ওপর তৈরি হলো লাল-সবুজের এক মানব পিরামিড। শ্যুটআউটে চীনকে ৪-৩ গোলে হারিয়ে লক্ষ্য পূরণ হয়েছে বাংলাদেশের। যে ৬ নম্বর হওয়ার লক্ষ্য নির্ধারণ ছিল টুর্নামেন্টের আগে, সেটা নিশ্চিত হলো। এখন জাপানের সঙ্গে শুক্রবার লড়বে পঞ্চম স্থানের জন্য। পঞ্চম হতে না পারলেও এ জয়ে নিশ্চিত হলো পরের এশিয়া কাপে বাংলাদেশের সরাসরি খেলা। এবার আর বাছাই পর্ব খেলতে হবে না লাল-সবুজ জার্সিধারীদের।

১৭ মিনিটে পর পর দুটি পিসিতে গোল করে ২-০ গোলে এগিয়ে যায় চীন। দুটি গোলই করেন দু তালাকে। ২৫ মিনিটে বাংলাদেশ পেনাল্টি স্ট্রোক পেলে গোল করে ব্যবধান কমান আশরাফুল ইসলাম। ২৮ মিনিটে দু তালাকে হ্যাটট্রিক পূরণ করা গোলে চীন ব্যবধান বাড়িয়ে করে ৩-১।

৫০ থেকে ৫৪-এই চার মিনিটে চীনের ওপর দিয়ে ঝড় বইয়ে দেয় লাল-সবুজ জার্সিধারীরা। ওই সময়ের মধ্যে চার-চারটি পেনাল্টি কর্নার আদায় করে নেয় বাংলাদেশ। চতুর্থটিতে খোরশেদ গোল করে ম্যাচে সমতা আনেন। তার আগে খোরশেদের পাস থেকে মিলন গোল করে ব্যবধান ৩-২ করেছিলেন।

শ্যুটআউটের চারটি হিটের মধ্যে বাংলাদেশের গোল করেছেন ফরহাদ শিটুল, নাইম উদ্দিন, মিমো ও জিমি। সোহানুর রহমান সবুজ ব্যর্থ হয়েছেন বল বাইরে পাঠিয়ে। এ জয়ে গুরুত্বপূর্ণ অবদান গোলরক্ষক আবু নিপ্পনের। বাংলাদেশের এ গোলরক্ষক রুখে দেন চীনের তৃতীয় শ্যুটআউট।