চীন থেকে আরও ৬ জাহাজ কিনছে বিএসসি

বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশন (বিএসসি) চীন থেকে সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে আরও ছয়টি জাহাজ কিনতে চায়। তেল ও কয়লা পরিবহনে এগুলো ব্যবহার করা হবে। এ জন্য ব্যয় ধরা হয়েছে দুই হাজার ৯৭ কোটি টাকা। এ জন্য দেশটির কাছ থেকে ঋণ পাওয়ার আশ্বাসও পাওয়া গেছে।

পরিকল্পনা কমিশন সূত্রে জানা গেছে, ছয় জাহাজের মধ্যে পরিশোধিত তেল পরিবহনে এক লাখ থেকে এক লাখ ২৫ হাজার ডেড ওয়েট টন (ডিডব্লিউটি) ধারণ ক্ষমতার মাদার ট্যাঙ্কার কেনা হবে দুটি। এ দুই মাদার ট্যাঙ্কের জন্য ব্যয় ধরা হয়েছে ১০ কোটি ডলার। দুটি ডিজেল পরিবহন উপযোগী ৮০ হাজার ডিডব্লিউটি ধারণ ক্ষমতার অয়েল ট্যাঙ্কারের মূল্য ধরা হয়েছে ৯ কোটি টাকা। কয়লা পরিবহনে কেনা হবে ৮০ হাজার ডিডব্লিউটি সম্পন্ন দুটি মাদার বাল্ক্ক ক্যারিয়ার। এ দুটি জাহাজের জন্য ব্যয় ধরা হয়েছে ছয় কোটি ডলার। আমদানি শুল্ক্ক ও অন্য খচরসহ প্রকল্পের মোট ব্যয় প্রস্তাব করা হয়েছে দুই হাজার ১৬৯ কোটি টাকা। ২০২১ সালের মধ্যে এসব জাহাজ কেনার লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে বিএসসি।

অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) কর্মকর্তারা জানান, এ প্রকল্পের অর্থায়নের বিষয়ে চীনের প্রাথমিক সম্মতি পাওয়া গেছে। তবে কবে নাগাদ ঋণ অনুমোদন প্রক্রিয়া চূড়ান্ত হবে তা এখনই বলা যাচ্ছে না। এদিকে প্রকল্প প্রস্তাব অনুমোদনের তোড়জোড় চলছে। চলতি মাসে প্রকল্পটি অনুমোদনের জন্য একনেক সভায় উপস্থাপন করা হতে পারে বলে পরিকল্পনা কমিশনের কর্মকর্তারা জানান।

বর্তমানে অন্য একটি প্রকল্পের আওতায় চীন থেকে ছয়টি জাহাজ কেনার প্রকল্প চলমান রয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে ৩৯ হাজার ডিডব্লিউটি ধারণ ক্ষমতার ৩টি তেলবাহী ট্যাঙ্কার এবং কয়লা পরিবহনে কেনা হচ্ছে তিনটি বাল্ক্ক ক্যারিয়ার। এক হাজার ৮৪৩ কোটি টাকা ব্যয়ের এ প্রকল্পে চীন সরকার ঋণ দিচ্ছে এক হাজার ৪৪৮ কোটি টাকা। চায়না ন্যাশনাল মেশিনারি ইমপোর্ট অ্যান্ড এক্সপোর্ট করপোরেশন (সিএমসি) এসব জাহাজ তৈরি করছে।

উল্লেখ্য, বিএসসির বহরে বর্তমানে পাঁচটি জাহাজ রয়েছে। এগুলোর মধ্যে একটি কনটেইনারবাহী জাহাজ, দুটি বহুমুখী ও দুটি লাইটারেজ ট্যাঙ্কার। দেশের ৯০ শতাংশ আমদানি-রফতানি সমুদ্রপথে সম্পন্ন হয়ে থাকে। ফ্ল্যাগ প্রটেকশন আইন অনুযায়ী অন্তত ৫০ শতাংশ মালপত্র জাতীয় পতাকাবাহী জাহাজে পরিবহন করতে হয়। কিন্তু জাহাজ স্বল্পতার কারণে বিদেশি জাহাজে পণ্য আমদানি-রফতানি করতে হচ্ছে। বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন বছরে ১৩ থেকে ১৪ কোটি টন জ্বালানি তেল আমদানি করে।