চুরির ভয়ে প্রেসার কুকারে সোনার গয়না, অতঃপর…!

সোনার গয়না। চিরন্তন গুপ্তধন। রাজকোষের সিন্দুক থেকে ব্যাংকের ভল্ট, সময়ের সঙ্গে বদলেছে গয়নার বাক্স। কিন্তু সাধারণ গেরস্থ বাড়িতে ছবিটা উল্টো। পানের বাটা, মশলার কৌটা, হোমিওপ্যাথি বাক্সের মতো সাধারণ উপাদানই হয়ে ওঠে গৃহকর্তীর গুপ্তধনের আধার।

ভারতের পশ্চিমবঙ্গের চন্দননগরের বৈদ্যপোতার বাসিন্দা রাণু ভট্টাচার্য আরও এককাঠি ওপরে। মায়ের কাছ থেকে উত্তরাধিকার সূত্রে পাওয়া হার, কানের দুল, হাতের বালা, বাউটি রেখেছিলেন এক পুরানো প্রেসার কুকারে। বছরের পর বছর ধরে সেই প্রেসার কুকারই ছিল ভট্টাচার্য ঘরণীর সিন্দুক। কিন্তু গোল বাধে বাড়িতে রং মিস্ত্রি লাগিয়ে।

বাড়িতে রংয়ের কাজ চলছে। গরিব মানুষের কাজে লাগবে, এই ভেবে পুরানো প্রেসার কুকার রংয়ের মিস্ত্রিকে দিয়ে দেন রাণু দেবী। বেমালুম ভুলে যান সেই গয়নার কথা। আর এভাবেই কুকারের সঙ্গে হাতছাড়া হয়ে যায় ৮০ গ্রাম সোনার গয়না।

এর মধ্যেই আসে বিয়েবাড়ির দাওয়াত। খোঁজ পড়ে গয়নার। সারা বাড়ি হাতড়ানোর পর তার মনে পড়ে প্রেসার কুকার সিন্দুকের কথা। চলে যান চন্দননগর থানায়। পুলিশ রংমিস্ত্রিকে কুকার ও সোনার গয়না নিয়ে আসতে বলে। অবশেষে, মায়ের স্মৃতিবিজড়িত গয়না ফিরে পেয়ে ভট্টাচার্য ঘরণী খুশি। একই সঙ্গে এবার আরও সাবধানী। আর প্রেসার কুকারের সিন্দুকে নয়, গয়না পাঠিয়েছেন একেবারে ব্যাংকের লকারে।