চুড়িহাট্টার আর্তনাদ || অনিন্দ্য আসাদ

চুড়িহাট্টার আর্তনাদ
অনিন্দ্য আসাদ


সোনালী অতীত হারানো
পলেস্তা বিহীন
দেয়াল গুলোর কান্নায়
মিশে গেছে সমস্ত ব্যস্ততা,
কিছুদিন আগেও ছুটতো মানুষ
সকাল সন্ধ্যার এই আয়োজনে।

রামিম, শাহেদ, ফায়সাল আংকেল, মায়ের পেটের যত্নে থাকা সেই শিশুসহ হাজারো মানুষ, সবাইতো বেশ ভালো ছিলো পরম মমতা নিয়ে।

রামিমের সেই সাইকেল
পড়ে আছে, একটুও ছুঁতে
মন চায়না।
আজ যদি বাবা বেঁচে থাকতো
অথচ বাবা মা ভাইকে সে
বাঁচাতে পারলোনা পুড়ে ছাঁই হলো চোখের সামনে।
শাহেদ যাবেনা আর কোনোদিন
বাবা মায়ের কাছে,
মা আর কোনোদিন শাহেদের মুখে খাবার তুলে দিতে
পারবে না, মায়ের চোখের জল শেষ হবে কিন্তু ছেলে আর ফিরবে না।

চির তরুণ ফায়সাল আংকেলের সাথে আর কোনোদিন দেখা হবেনা, তিনি আর বলবেন না “ভালো আছো?”
ভূমিষ্ঠ হবার আগেই
ছাঁই হয়ে গেলো মা এবং
গর্ভের সন্তান,
দেখা হলোনা নির্মম পৃথিবীর
এই নির্মমতা।
মেহেদীর রং পুড়িয়ে দিলো
রক্তিম আগুন।

সবার করুন ভাষাহীন চোখ
শুধু চেয়ে চেয়ে দেখছিলো,
পুড়েছিলো মানুষ,
পুড়েছিলো মানবতা,
পুড়েছিলো চুড়িহাট্ট,
শুধু দূর থেকে কেঁদেছিলো
নিঃসঙ্গ বিপন্ন আজরাইল।