চোখের জলে ফুটবলকে বিদায় বুফনের

বয়স ৩৯ পেরিয়ে গেলেও ঘোষণা দিয়েছিলেন রাশিয়া বিশ্বকাপ শেষে আন্তর্জাতিক ফুটবলকে বিদায় জানাবেন। তবে সেই স্বপ্ন পূরণ হল না ইতালি অধিনায়ক বুফনের। ইউরোপ অঞ্চলের বিশ্বকাপ বাছাইয়ের প্লে-অফ পর্বের দ্বিতীয় ম্যাচে সুইডেনের বিপক্ষে গোলশূন্য ড্র করে রাশিয়া বিশ্বকাপে খেলা হচ্ছে না চারবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ইতালির। ফলে চোখের জলে বিশ্বকাপ না খেলেই অবসরের ঘোষণা দিলেন সময়ের সেরা এই গোলরক্ষক।

প্রথম লেগে সুইডেনের মাঠে হেরে যাওয়ায় নিজেদের মাঠে জয়ের কোন বিকল্প ছিল না ইতালি। সেই লক্ষ্যকে সামনে রেখেই মাঠে নেমেছিল বুফনবাহিনী। পুরো ম্যাচে ৭৬ শতাংশ সময় বল দখলে রেখে একের পর এক আক্রমণ করে খেলে পুরো ম্যাচে ২৭টি শট নেয় ইতালি, যার ছয়টি ছিল লক্ষ্যে।

তবে শেষ পর্যন্ত আর গোলের দেখা পায়নি দলটি। ফলে ১৯৫৮ সালের পর বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে পড়লো আজ্জুরিরা। এরপরই আন্তর্জাতিক ফুটবলকে বিদায়ের ঘোষণা দেন বুফন।

আন্তর্জাতিক ফুটবলকে বিদায়ের ঘোষণা দিয়ে বুফন বলেন, ‘যারা ফুটবল খেলে তারা জানে ম্যাচটি আমাদের জন্য কতটা কঠিন ছিল। আমরা আমদের সেরাটা দিতে পারিনি। এটি হতাশাজনক। কেননা, আমরা এমন একটা জায়গায় ব্যর্থ হয়েছি সত্যিকারার্থেই যেটি দেশের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ ছিল। তবে বিদায়বেলায় আমার অন্য কোনো আক্ষেপ নেই। কেননা, সময় বয়ে চলে এবং (বিদায় বলার) এটাই সেরা সময়।’

বিশ্বকাপ থেকে বিদায় নিলেও ইতালি অন্য সময়ের মতোই ঘুরে দাঁড়াবে জানিয়ে বুফন আরও বলেন, ‘এটা আমার জন্য লজ্জানক। কেননা আমার শেষ অফিসিয়াল ম্যাচের সঙ্গে বিশ্বকাপে জায়গা করে নিতে ব্যর্থ হওয়ার তকম লেগে থাকবে। কিন্তু ইতালিয়ান ফুটবলের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ রয়েছে। আমাদের গর্ব-অহংকার, সক্ষমতা, আত্মনিবেদন রয়েছে এবং বাজে সময়ের পর নিজের পায়ে দাঁড়ানোর মতো পথ খুঁজে বের করার অতীত উদাহরণ রয়েছে। আমি এমন এক ইতালিকে রেখে যাচ্ছি যেটি জানে কীভাবে এর সম্মান রক্ষা করতে হয়।’

বর্ণাঢ্য ক্যারিয়ারে ইতালির হয়ে ১৭৫টি ম্যাচ খেলেছেন বুফন। ২০০৬ সালে জার্মানির বার্লিনে টাইব্রেকারে ফ্রান্সকে হারিয়ে বিশ্বকাপের শিরোপা জয় করেন এই ইতালিয়ান গোলরক্ষক। ২০০০ সালে ইউরোর ফাইনালে হেরে যাওয়া ম্যাচের স্কোয়াডেও ছিলেন বুফন। এছাড়া ২০১২ সালের ইউরোর ফাইনালেও খেলেন তিনি।