চোখ বেঁধে তুলে নেয়া পাকিস্তানি সংস্কৃতি : বি চৌধুরী

কোটা সংস্কার আন্দোলনের তিন নেতাকে চোখ বেঁধে তুলে নেয়ার কড়া সমালোচনা করেছেন বিকল্পধারা বাংলাদেশের সভাপতি সাবেক রাষ্ট্রপতি ডা. একিউএম বদরুদ্দোজা (বি) চৌধুরী।

তিনি বলেন, ‘কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলন হয়েছে, দেশবিরোধী কোনো আন্দোলন ছিল না। তাহলে চোখে বেঁধে তুলে নিয়ে যেতে হবে কেন?’

বি চৌধুরী বলেন, ‘এই চোখ বাঁধার সংস্কৃতি শিখেছেন পাকিস্তানের কাছ থেকে। মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানিরা এভাবে চোখ বেঁধে তুলে নিত।’

শুক্রবার রাজধানীর মহানগর নাট্যমঞ্চে ‘বাংলাদেশের সংবিধানে বিধৃত আকাঙ্ক্ষা, বিদ্যমান পরিস্থিত ও করণীয়’ শীর্ষক নাগরিক সংলাপে তিনি এসব কথা বলেন।

সংবিধান প্রণেতা ড. কামাল হোসেনের ৮১তম জন্মদিন উপলক্ষে এই নাগরিক সংলাপের আয়োজন করে জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়া।

সংলাপে বি চৌধুরী আরো বলেন, সরকার সত্য শুনতে ভয় পায়। তাই বিরোধী কোনো দলকে সভা-সমাবেশের অনুমতি দিতে চায় না।

এতে গণফোরাম সভাপতি ও জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ার আহ্বায়ক ড. কামাল হোসেন বলেন, ‘সরকার নিজেদের কায়দামতো তথাকথিত সংসদ, তথাকথিত নির্বাচন, তথাকথিত গণতন্ত্র বানিয়েছে।

‘সরকার সরাসরি মিথ্যাচার করে বলছে, এগুলো গিলে নেন। দেশের মানুষকে ছাগল ভাববেন না। এটা বোকাদের দেশ না’ যোগ করেন তিনি।

ড. কামাল বলেন, ‘একের পর এক ব্যাংক লুট হচ্ছে। জনগণের কষ্টের টাকা বিদেশে পাচার হচ্ছে। সরকার এসব টাকা ফিরিয়ে আনতে কোনো উদ্যোগ নেয়নি।’

তিনি বলেন, ‘গুম, হত্যার ভয়ে দেশের জনগণ কথা বলতে ভীত। গুম, হত্যার ভয়ে ভীত থাকলে বাংলাদেশ স্বাধীন হতো না। বর্তমান পরিস্থিতি থেকে বের হওয়ার উপায় নাগরিকদের ঐক্য।’

সংলাপে অন্যদের মধ্যে অংশ নেন তেল-গ্যাস-খনিজসম্পদ ও বিদ্যুৎ-বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটির আহ্বায়ক শেখ মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ, সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি কাদের সিদ্দিকী, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দলের (বাসদ) সাধারণ সম্পাদক খালেকুজ্জামান প্রমুখ।