চৌদ্দগ্রামে গৃহবধু ময়না হত্যা, দেড় মাসেও গ্রেফতার হয়নি ঘাতকরা

হত্যাকান্ডের দেড় মাস পার হয়ে গেলেও কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার গৃহবধু হনুফা আক্তার ময়নার ঘাতক স্বামীসহ অন্যান্য আসামীরা এখনো ধরা ছোঁয়ার বাইরে। আত্মগোপনে থেকে ঘাতকরা মামলার বাদি ও স্বাক্ষীকে বিভিন্নভাবে হুমকি ধমকি দিচ্ছে বলেও জানা যায়।

এদিকে দীর্ঘ দেড় মাস পেরিয়ে গেলেও এখনো পাওয়া যায়নি ময়নাতদন্তের রিপোর্ট। নিহতের ভাইয়ের অভিযোগ ময়নাতদন্তের রিপোর্ট প্রদানে ইচ্ছাকৃতভাবেই বিলম্ব করা হচ্ছে।

নিহতের ভাই ও মামলার বাদি হারেছ মোল্লা জানান, ঘাতক শামিম আতœগোপনে রয়েছে। মামলার অপর আসামীরা অধিকাংশ সময় বাড়িতেই থাকে। অপরদিকে ঘাতক শামিমের বোন ও মা বিভিন্নভাবে মামলার স্বাক্ষী একই গ্রামের পান্না বেগমকে মামলা তুলে নেওয়ার জন্য হুমকি ধমকি প্রদান করছে। এমনকি ফেসবুকে বিভিন্ন আইডি থেকে উল্টো আমার নিকট (মামলার বাদী হারিছ) টাকা পাবে বলে টাকা পরিশোধের জন্য হুমকি ধমকিও প্রদান করছে শামিমের লোকজন। মামলার স্বাক্ষী ও ফেসবুকে হুমকিতে বাদী হারেছসহ নিহত ময়নার পরিবার বর্তমানে আতংকের মধ্যে দিন অতিবাহিত করছেন বলে জানান হারেছ মোল্লা। থানায় হত্যা মামলা না নেওয়ায় নিহতের পরিবার বাদি হয়ে কুমিল্লার আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন বলে নিহতের পরিবার জানান।

জানা যায়, গত ২৭ মার্চ সোমবার দিবাগত রাতে উপজেলার শুভপুর ইউনিয়নের কটপাড়া গ্রামে হনুফা আক্তার ময়না নামের এক সন্তানের জননীকে স্বামীর বাড়িতে হত্যার পর ফাঁসিতে ঝুলিয়ে পালিয়ে যায় ঘাতক শামিম ও তার পরিবার। এ সময় ময়নার ৩ মাস বয়সী শিশু সন্তানও নিয়ে যায় তারা। পরেরদিন মঙ্গলবার পুলিশ লাশটি উদ্ধার শেষে ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়।

চৌদ্দগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবু ফয়সল জানান, এ ঘটনায় একটি অপমৃত্যুর মামলা হয়েছিল। পরে গৃহবধুর পরিবার আদালতে হত্যা মামলা দায়ের করে। আমি যতটুকু জানি, ময়নাতদন্তের রিপোর্টে হত্যার আলামত পাওয়া যায়নি। আমি একটি মিটিংয়ে আছি , পরে জেনে বিস্তারিত জানাবো।

কিন্তু নিহতের পরিবার জানায়, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আমরা এখনো পাইনি। হত্যাকে আতœহত্যা বলে চালিয়ে দেওয়ার পায়তারা চলছে।

এ বিষয়ে জানতে কুমিল্লা ফরেনসিক বিভাগের প্রধান ডাঃ কামুদা প্রসাদ সাহার মুঠোফোনে একাধিকবার কল দিয়েও মুঠোফোন সংযোগে তাকে পাওয়া যায়নি।