ছাত্রদলের মিছিলে ছাত্রলীগের হামলা

কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে পূর্ব ঘোষিত ছাত্রদলের মিছিলের ওপর ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা হামলা চালিয়েছে। এতে ছাত্রদলের তিন কর্মী আহত হয়েছেন। তাদের স্থানীয়ভাবে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।

আজ শনিবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের থানার ফটকের সামনে কুষ্টিয়া-ঝিনাইদহ মহাসড়কে এ ঘটনা ঘটে।

বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ওমর ফারুক প্রথম আলোকে বলেন, ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক আকরামুল হাসানকে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। সকাল সোয়া সাতটার দিকে ক্যাম্পাস সংলগ্ন ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার শেখপাড়া বাজার থেকে মিছিলটি বের হয়। মিছিলটি থানা এলাকায় পৌঁছালে ওই মিছিলের ওপর বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক জুয়েল রানা হালিমের নেতৃত্বে শতাধিক নেতা কর্মী হামলা চালায়। ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের হাতে রড, হকিস্টিক ও লাঠি ছিল। অতর্কিত হামলায় কামরুল ইসলাম, মাহবুব রহমান ও উল্লাস নামে তাদের তিনজন কর্মী আহত হন। তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে নিরাপদ স্থানে পাঠানো হয়েছে।

ওমর ফারুক বলেন, ছাত্রলীগ মিছিলে হামলা চালিয়ে গণতান্ত্রিক রাজনীতির ধারাকে হামলা করল। আমরা সব সময় সহাবস্থান চাই। ভবিষ্যতে তারা সীমা অতিক্রম করলে সাধারণ ছাত্রদের নিয়ে কঠোর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।

প্রত্যক্ষদর্শী কয়েকজন জানান, হামলার একপর্যায়ে উভয় দলের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়। ছাত্রলীগের নেতা কর্মীদের ধাওয়ায় ছাত্রদলের নেতা কর্মীরা পিছু হটে ছত্রভঙ্গ হয়ে পার্শ্ববর্তী আনন্দ নগর গ্রামের দিকে চলে যায়। পরে ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক জুয়েল রানার নেতৃত্বে নেতা কর্মীরা একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করে।

বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক জুয়েল রানা হালিম প্রথম আলোকে বলেন,‘ছাত্রদল যাতে ক্যাম্পাসে কোনো বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে না পারে সে জন্য আমার নেতৃত্বে হামলা করা হয়েছে। ক্যাম্পাসে ছাত্রদলকে কোনো রকম বিশৃঙ্খলা করতে দেওয়া হবে না। সব সময় তাদের প্রতিহত করা হবে।’

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রতন শেখ বলেন,‘তার এলাকায় কোনো কিছু হয়নি। ঘটনাস্থল শৈলকুপা থানার মধ্যে পড়েছে। ক্যাম্পাস শান্ত রয়েছে।’