ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নেতার আপত্তিকর ছবি ভাইরাল

ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সহসভাপতি আনোয়ার হোসেন আনুর কয়েকটি আপত্তিকর ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে।

গত বুধবার ছবিগুলো ভাইরাল হলেও গতকাল রোববার সন্ধ্যায় সেগুলো আমাদের কাছে আসে। ভাইরাল হওয়া ওই ছবির সঙ্গে আনুর চেহারার হুবহু মিল পাওয়া যায়। পরে এ নিয়ে আনুর সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি বিষয়টি সত্যতা নিশ্চিত করেন। তবে তিনি এটি ‘ষড়যন্ত্রের অংশ’ বলে দাবি করেন।

ফেসবুকে ছবিগুলো আপলোড করেছেন গোপালগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন ছাত্রী। আনুর গ্রামের বাড়িও গোপালগঞ্জ জেলায়। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০০৪-০৫ শিক্ষাবর্ষের পালি অ্যান্ড বুড্ডিস্ট স্টাডিজ বিভাগের ছাত্র ছিলেন। ছাত্রত্ব শেষ হলেও এখনো তিনি সলিমুল্লাহ মুসলিম (এসএম) হলে অবস্থান করছেন।

ওই ছাত্রী জানিয়েছেন, তাঁর সঙ্গে বিভিন্ন সময়ে ফেসবুকে চ্যাট করেন আনু। চ্যাটে বিভিন্ন ধরনের আপত্তিকর ছবি পাঠাতেন তাঁকে।

ফেসবুকে ছবিগুলো পোস্ট করে ছাত্রী লিখেছেন, ‘আপনারা যাঁরা যাঁরা বলছেন এটা এডিট করা, তাঁদের বলছি—ভাইয়া, এটা এডিট করা যায় না। এটা আনুর সঙ্গে আমার ফেসবুকে চ্যাটিংয়ের স্কিন শর্ট, আমি ছাত্রলীগকে ভালোবাসি; কিন্তু আনুকে ঘৃণা করি।’

ভাইরাল হওয়া ছবিটি নিজের বলে স্বীকার করে নিয়েছেন আনোয়ার হোসেন আনু। তিনি বলেন, ‘বিষয়টা নিয়ে আমি তোমার (প্রতিবেদক) সঙ্গে সামনাসামনি কথা বলি। বিষয়টা নিয়ে অনেক বিস্তারিত বলতে হবে তো। বিষয়টা নিয়ে অনেক ষড়যন্ত্রের একটা ব্যাপার আছে। এখানে বড় ধরনের একটা ঘটনা ঘটেছে। শুধু ছবি দেখে একটা কিছু অনুমান করা ইয়ে নেই, এর আগেপিছে অনেক কিছু আছে। সেটা হয়তো বলতে হবে তোমাকে।’

এক প্রশ্নের জবাবে আনু আরো বলেন, ‘এখন কি এটা নিয়ে নিউজ করতে হবে? আপত্তিকর একটা বিষয় দেখলেই এটা নিয়ে নিউজ করতে হবে! এটা কোনো কথা বললা ভাই। এটা নিয়া নিউজ করার কী আছে? এমনিতেই আমার মানসিক অবস্থা, তোমার ক্ষেত্রে ঘটে নাই বা তোমার নিকট কারো ক্ষেত্রে ঘটে, তাহলে তো বোঝাই যায় তার শারীরিক অবস্থাটা বা মানসিক অবস্থাটা কোন জায়গায় থাকে। পাঁচ দিন ধরে আমি এখন পর্যন্ত বাসা থেকেই বের হইনি। এখানে অন্য কাহিনী আছে ভাই।’

এ ব্যাপারে ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এস এম জাকির হোসাইন বলেন, ‘আমি বিষয়টি জানি না। যদি সে স্বীকার করে থাকে এবং সত্যি হয় তবে আমরা তাঁর বিরুদ্ধে সংগঠন থেকে ব্যবস্থা নেব।’

ছাত্রলীগের সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগ বলেন, ‘এটা তাঁর একান্ত ব্যক্তিগত ব্যাপার। কারোর ফ্যামিলির বিষয়ে আমি নাক গলাতে পারি না। এটা যদি একান্তে ঘটেও থাকে, তার জন্যও লজ্জাকর বিষয়। আমার কাছে কোনো অভিযোগ আসেনি।’ সৌজন্যে: এনটিভি অনলাইন