ছাত্রীকে গণধর্ষণ শেষে ভিডিও ধারণ, প্রেমিক গ্রেফতার

জীবননগরে প্রেমের ফাঁদে ফেলে প্রেমিক তার দুই বন্ধুকে নিয়ে এসএসসি পরীক্ষার্থীকে গণধর্ষণ করার অভিযোগ ওঠেছে। ধর্ষণের সময় মোবাইল ফোনে দৃশ্য ধারণ ও স্বর্ণের গয়না কেড়ে নেয় ধর্ষকরা। এ সময় ঘটনা ফাঁস করলে নগ্ন দৃশ্যের ছবি ও ভিডিও ফেসবুকসহ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছেড়ে দেয়ারও হুমকি দেয়া হয় বলে জানান ভুক্তভোগীর পরিবার। এ ঘটনায় পুলিশ প্রেমিক আরিফকে গ্রেফতার করেছে।

এ ব্যাপারে মঙ্গলবার রাতে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে জীবননগর থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।

মামলার আসামিরা হলেন, উপজেলার বাঁকা ইউনিয়নের আলীপুর গ্রামের রাখালশাহপাড়ার মৃত আব্দুস সালামের ছেলে দোকান কর্মচারী আরিফুল ইসলাম আরিফ (২৫), একই গ্রামের আজিল হোসেনের ছেলে জুয়েল (২৩) ও আব্দুর রশিদ দেওয়ানের ছেলে সিরাজুল (২৮)।

এলাকাবাসী ও পরিবার সূত্রে জানা গেছে, দোকান কর্মচারী আরিফুল ইসলাম আরিফ (২৫) একই উপজেলার নতুন তেঁতুলিয়ার গ্রামের এক এসএসসি পরীক্ষার্থীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে। রোববার পরীক্ষা দিয়ে তরুণীটি বাড়ি ফেরে। ওই দিন বিকালে প্রেমিক আরিফ দেখা করার কথা বলে মোবাইলে তাকে তাকে ডেকে নেয়। সন্ধ্যা পর্যন্ত ঘোরাঘুরি করার পর তারা খয়েরহুদা গ্রামের মাঠপাড়ায় যায়। সেখানে আরিফসহ দুই বন্ধু ছাত্রীকে ধর্ষণ শেষে তাকে ভুট্টাক্ষেতে ফেলে রেখে পালিয়ে যায়। যাওয়ার সময় এ ঘটনার কথা ফাঁস করলে ছবি ও ভিডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে দেয়ার হুমকি দেয় হয়। ঘটনার দুই দিন পর স্বর্ণের গয়না ফেরত দেয়ার কথা বলে আবারও ওই তরুণীকে উপজেলার লক্ষ্মীপুর ব্রিজের কাছে দেখা করতে বলে আরিফ।

মঙ্গলবার বিকালে সে তার পরিবারের সহায়তায় লক্ষ্মীপুর ব্রিজের ওপর গেলে এলাকাবাসী ধর্ষক আরিফকে আটক করে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করে। এ ব্যাপারে জীবননগর পৌরসভার সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ড কাউন্সিলর আফতাব উদ্দিন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ধর্ষক আরিফকে এলাকার মানুষ আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছে।

জীবননগর থানার ওসি মাহমুদুর রহমান বলেন, এ ঘটনায় মঙ্গলবার রাতে তিনজনের বিরুদ্ধে থানায় ধর্ষণ মামলা দায়ের করা হয়েছে। আটক আরিফকে গতকাল বুধবার চুয়াডাঙ্গা সংশ্লিষ্ট আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। বাকিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।