ছুটির দিনে পাঁচ জেলার সড়কে ঝরল ১৪ প্রাণ

ছুটির দিন শুক্রবার সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত পাঁচ জেলায় পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় ১৪ জন নিহত হয়েছেন। নরসিংদী, শেরপুর ও ঝিনাইদহ নওগাঁ ও মুন্সীগঞ্জে এসব দুর্ঘটনা ঘটে। এর মধ্যে নরসিংদীতে ৯ জন নিহত হয়েছেন। অন্যদিকে শেরপুরে ২ জন এবং ঝিনাইদহ নওগাঁ ও মুন্সীগঞ্জে একজন করে মারা গেছেন।

নরসিংদী ৯ জন

নরসিংদীর ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের রায়পুরা উপজেলার চারারবাগ ও নরসিংদী সদর উপজেলার মাধবদী এবং বাগহাটায় মারা যান ৯ জন। শুক্রবার সকাল ৭টায় মহাসড়কের রায়পুরা উপজেলার চারারবাগ এলাকায় যাত্রীবাহী বাস চাপায় রায়পুরার মরজাল এলাকার ইয়ামিন (২৩), ডালিম (১৭), রমজান (১৭) ও সোহাগ (১৭)। তারা মোটরসাইকেলে করে কাজের সন্ধানে ভৈরব যাচ্ছিলেন।

অন্যদিকে শুক্রবার দুপুর একটার দিকে নরসিংদী সদর উপজেলার বিরামপুর থেকে আমিনুল ইসলাম (৩৫) নামে এক দুবাই প্রবাসী তার স্ত্রী মানসুরা বেগমকে (৩০) মোটরসাইকেলে করে চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যাচ্ছিলেন। বাগহাটা এলাকায় পৌছালে একটি দ্রুতগামী মাইক্রোবাসের চাপায় ঘটনাস্থলেই তারা মারা যান।

এ দুর্ঘটনার আধাঘণ্টা পরে একই সড়কে জেলার মাধবদী পুরাতন বাস স্ট্যান্ডের রাইন ওকে মার্কেটের সামনে হবিগঞ্জগামী যাত্রীবাহী একটি বাস একটি রিকশাকে চাপা দেয়। এতে রিকশাযাত্রী রতন মিয়া (৪৫), রিকশাচালক (৩৪) ও পথচারী মকবুল হোসেন ঘটনাস্থলে মারা যান।

শেরপুরে নিহত ২

শুক্রবার সকালে শেরপুর-সূর্যদী-নকলা সড়কের বানিয়াপাড়া মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে এর চালক জানু ও আরোহী রাজীব মারা যান। তারা মোটরসাইকেলযোগে নকলা উপজেলার গ্রামের বাড়িতে যাচ্ছিলেন। পথে বানিয়াপাড়া এলাকায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে মোটরসাইকেলটি সড়কের পাশে একটি গাছের সঙ্গে ধাক্কা লাগলে তারা মারা যান।

নিহত জানু মিয়া (১৭) নকলা উপজেলার পোলাদেশী কবুতরমারী গ্রামের মৃত মকবুল হোসেনের ছেলে। রাজীব একই এলাকার আব্দুস সালামের ছেলে। তারা তারাকান্দি এলাকার একটি বেকারীর কর্মচারী ছিলেন।

ঝিনাইদহে নিহত ১

ঝিনাইদহ সদর উপজেলার মহামায়া নামক স্থানে পাওয়ার টিলারের সঙ্গে সংঘর্ষে আনোয়ারা বেগম নামে এক অটোযাত্রী মারা গেছেন। এসময় আহত হন আরও তিনজন। নিহত আনোয়ারা কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার কাকিলাদহ গ্রামের হাশেম আলীর স্ত্রী। আহত তিন যাত্রীকে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

এছাড়াও নওগাঁ ও মুন্সিগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় একজন করে নিহত হয়েছেন।