জঙ্গিদের এটা কেমন পাসপোর্ট?

নব্য জামাআতুল মুজাহিদিন বাংলাদেশের (জেএমবি) সদস্যদের মধ্যে যেসব পাসপোর্ট বিলি করা হচ্ছে তা নিয়ে রহস্য সৃষ্টি হয়েছে। দাওয়াতি কার্যক্রমের অংশ হিসেবে জঙ্গিরা তাদের সদস্যদের মধ্যে রহস্যঘেরা সেসব পাসপোর্ট দিচ্ছেন। এতে লেখা রয়েছে ‘জান্নাত ও আখেরাতের পাসপোর্ট’।

তবে রহস্যঘেরা ওই পাসপোর্টের ভেতরে কী রয়েছে, কেনই বা তারা জান্নাত আর আখেরাতের পাসপোর্ট দিচ্ছেন, এ পেছনে অন্যকোনো উদ্দেশ্য আছে কিনা সে সম্পর্কে কিছুই জানা যায়নি।

নব্য জেএমবির শীর্ষ পর্যায়ের নেতা সরোয়ার-তামিম গ্রুপের দুই সংগঠককে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ থেকে গ্রেপ্তার করার পর উদ্ধার হয় একটি পুস্তিকা। যেটির একটিতে লেখা রয়েছে ‘জান্নাতের পাসপোর্ট। এর নিচে গোল বৃত্তের মধ্যে লেখা- এই বিশ্ব সৃষ্টি জগতের একমাত্র মালিক, আল্লাহ। এরপর নিচে ইংরেজি লেখা রয়েছে- PASSPORT OF HEAVEN- তার নিচে ছোট অক্ষরে লেখা with visa।

অন্যটাতে লেখা রয়েছে, ‘আখেরাতের পাসপোর্ট’। তার নিচে বৃত্তকারে লেখা- Passport to the- Day of judgement. তারও নিচে লেখা রয়েছে- মূল : আকরামুল্লা সাঈদ।

র‌্যাবের গণমাধ্যম শাখার প্রধান মুফতি মাহমুদ খান পাসপোর্টের ভেতরে কী লেখা আছে, সে বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানাননি।

জেএমবির সারোয়ার-তামিম গ্রুপের শুরা সদস্য ও অর্থ যোগানদাতা এবং ঢাকা মহানগর পশ্চিমের দাওয়াতি আমির ইমরান আহমেদ ও তার সহযোগী শামীম মিয়াকে গ্রেপ্তার করার পর তাদের কাছ থেকে এসব পুস্তিকা উদ্ধার করা হয়েছে।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ইমরান জানিয়েছেন, তিনি একটি টেক্সটাইল কারখানার মালিক। ২০১২ সালে এক বন্ধুর মাধ্যমে জঙ্গি কার্যক্রমে জড়িয়ে পড়েন। তিনি তার অফিস, কারখানা ভবন এবং বাসা- এ তিন জায়গাতেই জঙ্গিবাদের সঙ্গে যুক্ত বিভিন্ন ধরনের বই পুস্তক ও অনেক জিনিসপত্র রাখতেন। তিনি জঙ্গিদের আর্থিকভাবে সহযোগিতা করার পাশাপাশি অনেক জঙ্গির পাসপোর্ট তৈরি করে দিতেন।

তবে জব্দ করা পাসপোর্ট যে সাধারণ পাসপোর্টের চেয়ে ভিন্ন সে ব্যাপারে নিশ্চিত হওয়া গেছে। কেউ বলছেন, জান্নাত বা আখেরাতের পাসপোর্টধারীরা জঙ্গিদের বিশেষ কোনো কাজে সক্রিয় থাকে। প্রকৃতপক্ষে এসব পাসপোর্টের পেছনে কী রহস্য আছে তাই এখন প্রশ্ন।