জমছে না সেগুনবাগিচার হলিডে মার্কেট

রাজধানীর সেগুনবাগিচায় শিল্পকলা একাডেমির পূর্ব পাশের সড়কে প্রতি শুক্রবার হলিডে মার্কেটের জন্য নির্ধারিত থাকলেও তা জমে উঠছে না। মূলত ক্রেতা সংকটে ভুগছেন হলিডে মার্কেটের অস্থায়ী এসব দোকানীরা।

এর আগে রাজধানীতে চালু হয় হলিডে বা ছুটির দিনের মার্কেট। সাপ্তাহিক সরকারি ছুটির দিন শুক্র ও শনিবার মার্কেটগুলো চালু রাখার সিদ্ধান্ত হয়। রাজধানীবাসী সপ্তাহের এই দু’দিন নির্দিষ্ট সময়ের জন্য অস্থায়ীভাবে ক্রয়-বিক্রয়ের সুবিধা পান এসব মার্কেটে। মার্কেটগুলোতে কাপড়, প্রসাধনী, জুতা, গৃহস্থালি ও নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র সুলভমূল্যে পাওয়া যায়। এতে বেশি উপকৃত হন নগরীর নিম্নবিত্ত ও নিম্নমধ্যবিত্ত মানুষেরা। কিন্তু নির্ধারিত এই দিনে সেগুনবাগিচার হলিডে মার্কেট জমে না উঠায় হতাশ বিক্রেতারা।

শুক্রবার সেগুনবাগিচার শিল্পকলা একাডেমির গেট থেকে দুদকের সামনে দিকে রাজস্ব ভবনের রাস্তায় এ হলিডে মার্কেট বসলেও ক্রেতাদের উপস্থিতি ছিল না বললেই চলে। সরেজমিনে সেখানে ১৫ থেকে ২০ টি থেকে দোকন দেখা গেছে যেগুলোর কোনটিতেই ক্রেতা উপস্থিতি তেমন ছিল না।

সেখানকার অস্থায়ী দোকানে পাওয়া যাচ্ছে প্লাস্টিক সামগ্রী, জুতা, মেয়েদের থ্রিপিস, ছেলেদের প্যান্ট-শার্ট, শিশুদের পোশাক, থান কাপড়, বেডশিট, কাপড়ের ব্যাগ বিভিন্ন স্টেশনারি পণ্য।

বিক্রেতারা বলছেন, এখানকার হলিডে মার্কেট তেমন একটা জমে না। তবে বিক্রি যে একবারেই হয় না, তা নয়।

খিলগাঁওয়ে থান কাপড়ের দোকন আছে কিন্ত সেগুনবাগিচার হলিডে মার্কেটে শুক্রবার করে দোকান বসান আলী হোসেন। তিনি বলেন, বেলা ১১টায় বসেছি কিন্তু সাড়ে ৩টা পর্যন্ত তেমন বিক্রি হয়নি। এখানে ক্রেতারা তেমন ভিড় জমায় না। তাও এমন হলিডে মার্কেট আছে বলে কিছুটা বেচা বিক্রি করতে পারি।

হলিডে মার্কেটেই কাপড়ের ব্যাগ কিনছিলেন হায়দার হোসেন নামের এক পথচারি। তিনি বললেন, প্রথম প্রথম এখানকার মার্কেটে বিভিন্ন কিছু পাওয়া গেলেও বর্তমানে আর তেমন কিছু পাওয়া যায় না। বেশি বেচা-বিক্রি না হওয়ায় আগের মত আর দোকানও বসে না।

এদিকে দোকানীরা বলছেন, যদি এ মার্কেটটির বেশি বেশি প্রচার হতো। তাহলে দোকানও বেশি বসতো, লোকসমাগম বেশি হতো। সেই সঙ্গে বেচা-বিক্রিও বাড়তো।