জাজের মালিক আজিজ ও তার ভাইয়ের বিরুদ্ধে পাঁচ মামলা

জনতা ব্যাংক থেকে এক হাজার ৭৪৫ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ক্রিসেন্ট গ্রুপের চেয়ারম্যান এম এ কাদের এবং তার ভাই জাজ মাল্টিমিডিয়ার মালিক ও ক্রিসেন্ট ফুটওয়্যারের চেয়ারম্যান এম এ আজিজের বিরুদ্ধে পাঁচটি মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন দুদক। রোববার রাজধানীর চকবাজার থানায় মামলাগুলো দায়ের করা হয়।

দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রণব কুমার ভট্টাচার্য্য এই তথ্য জানিয়েছেন।

এর আগে গত সপ্তাহে দুদকের প্রধান কার্যালয় থেকে মামলাগুলোর অনুমোদন দেওয়া হয়।

মামলায় এক হাজার ৭৪৫ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয়েছে। এতে ক্রিসেন্ট গ্রুপের চেয়ারম্যান এম এ কাদের এবং তাঁর ভাই জাজ মাল্টিমিডিয়ার মালিক ও ক্রিসেন্ট ফুটওয়্যারের চেয়ারম্যান এম এ আজিজ এবং সোনালী ব্যাংকের উপমহাব্যবস্থাপক (ডিএমডি) জাকির হোসেনসহ ২০ জনকে আসামি করা হয়েছে।

এর আগে গত ৩০ জানুয়ারি ৯১৯ কোটি ৫৬ লাখ টাকার সমপরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা বিদেশে পাচারের অভিযোগে মানিলন্ডারিং আইনে ক্রিসেন্ট গ্রুপের চেয়ারম্যান এম এ কাদের ও সরকারি ব্যাংকের দুই ডিএমডিসহ ১৭ জনের বিরুদ্ধে পৃথক তিনটি মামলা দায়ের করে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর।

চকবাজার মডেল থানায় দায়ের করা তিন মামলায় ক্রিসেন্ট লেদার প্রোডাক্টস, রিমেক্স ফুটওয়্যার ও ক্রিসেন্ট ট্যানারিজ লিমিটেডের বিরুদ্ধে যথাক্রমে ৪২২ দশমিক ৪৬ কোটি টাকা, ৪৮১ দশমিক ২৬ কোটি টাকা ও ১৫ দশমিক ৮৪ কোটি টাকা পাচারের অভিযোগ আনা হয়।

ওই তিন মামলায় আসামিরা হলেন- ক্রিসেন্ট লেদার প্রোডাক্টস লিমিটেড ও ক্রিসেন্ট ট্যানারিজ লিমিটেডের চেয়ারম্যান এম এ কাদের, ব্যবস্থাপনা পরিচালক সুলতানা বেগম মনি, রিমেক্স ফুটওয়্যার লিমিটেডের চেয়ারম্যান আবদুল আজিজ ও এমডি লিটুল জাহান (মিরা), জনতা ব্যাংক লিমিটেডের ডিএমডি (সোনালী ব্যাংকের তৎকালীন জিএম) মো. জাকির হোসেন, বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের ডিএমডি (তৎকালীন জিএম জনতা ব্যাংক লিমিটেড) ফখরুল আলম, জিএম মো. রেজাউল করিম, ডিজিএম কাজী রইস উদ্দিন আহমেদ, এ কে এম আসাদুজ্জামান, মো. ইকবাল, এজিএম (সাময়িক বরখাস্ত) মো. আতাউর রহমান সরকার, সিনিয়র প্রিন্সিপাল অফিসার (সাময়িক বরখাস্ত) মো. খায়রুল আমিন, সিনিয়র প্রিন্সিপাল অফিসার (সাময়িক বরখাস্ত) মো. মগরেব আলী, প্রিন্সিপাল অফিসার (সাময়িক বরখাস্ত) মুহাম্মদ রুহুল আমিন, সিনিয়র অফিসার (সাময়িক বরখাস্ত) মো. সাইদুজ্জাহান, মো. মনিরুজ্জামান ও মো. আবদুল্লাহ আল মামুন।

এ ঘটনায় ওই দিনই ক্রিসেন্ট লেদার প্রোডাক্টস ও ক্রিসেন্ট ট্যানারিজ লিমিটেডের চেয়ারম্যান এম এ কাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়।