জাতিসংঘ মহাসচিব ঢাকায়, কোথায় কী করবেন

রোহিঙ্গা সংকট সমাধানের উপায় খুঁজতে ঢাকায় এসে পৌঁছেছেন জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। গতকাল শনিবার দিবাগত রাত ২টা ৬ মিনিটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তাঁকে বহনকারী বিমানটি অবতরণ করে।

বিমানবন্দরে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ এইচ মাহমুদ আলী জাতিসংঘ মহাসচিবকে অভ্যর্থনা জানান।

এর আগে জাতিসংঘ শরণার্থীবিষয়ক সংস্থার প্রধান হিসেবে ২০০৮ সালের ২৭ মে গুতেরেস বাংলাদেশ সফর করেন।

এদিন এর আগে ঢাকায় পৌঁছান বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট জিম ইয়ং কিম। তাঁরা দুজনই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে আজ বেলা ১১টায় সাক্ষাৎ করবেন বলে এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন।

বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে আয়োজিত টেকসই উন্নয়ন এজেন্ডা নিয়ে অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন জাতিসংঘ মহাসচিব। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও এতে উপস্থিত থাকবেন।

জাতিসংঘ মহাসচিব রাজধানীর ধানমণ্ডিতে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘর পরিদর্শন করবেন। এ ছাড়া তেজগাঁওয়ে হলিক্রস উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ে তাঁর যাওয়ার কথা রয়েছে।

সন্ধ্যায় র‍্যাডিসনে গুতেরেস জাতিসংঘ বাংলাদেশ কার্যালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করবেন। একই হোটেলে তিনি জাতিসংঘ ও বিশ্বব্যাংক কর্মকর্তাদের সঙ্গে মিলিত হবেন।

এরপর সোনারগাঁও হোটেলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আয়োজিত নৈশভোজে যোগ দেবেন গুতেরেস।

আগামীকাল সোমবার বাংলাদেশ বিমানের উড়োজাহাজে কক্সবাজারের রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরের উদ্দেশে রওনা দেবেন জাতিসংঘ মহাসচিব। তাঁর সঙ্গে থাকবেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ এইচ মাহমুদ আলী, বিশ্বব্যাংক প্রেসিডেন্ট, জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক হাইকমিশনার ফিলিপো গ্রান্ডি।

কাল সকালে কক্সবাজারের হোটেল সায়েমানে সাংবাদিকদের ব্রিফ করবেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাহমুদ আলী।

জাতিসংঘপ্রধান কুতুপালংয়ে রোহিঙ্গা ক্যাম্প এবং নারীবান্ধব শিবিরে যাবেন। তিনি ঢাকায় পৌঁছাবেন সোমবার সন্ধ্যা ৬টায় এবং র‍্যাডিসন হোটেলে সাংবাদিকদের ব্রিফ করবেন সন্ধ্যা সোয়া ৭টায়। এদিন দিবাগত রাতেই ঢাকা ছাড়বেন গুতেরেস।

গত বছরের ২৫ আগস্ট মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে অভিযান শুরু করে মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী। অভিযানের পর থেকে গণহত্যা, ধর্ষণ, নির্যাতন ও উচ্ছেদের শিকার হয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। এখন পর্যন্ত সাত লক্ষাধিক রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছে।

বিভিন্ন সময় জাতিসংঘ বলেছে, রোহিঙ্গাদের ওপর জাতিগত নিধন চালাচ্ছে মিয়ানমারের সেনবাহিনী। যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, কানাডা ও ইউরোপের বিভিন্ন দেশ সেনা কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে।