জাতীয়তা কমনওয়েলথ || রাঈখ হাতাশি

জাতীয়তা কমনওয়েলথ
রাঈখ হাতাশি


১.
কে দিলো আশা মনের গহীন কোনে,
জীবন ও সংসারের ভালবাসা জনে জনে।
দেখতে দেখতে সময় ফুরালো আখিঁ ম্লান,
স্বজাতি নিপীড়ক প্রতারনা ছিলো বহমান,
বাংলার আকাশ-বাতাস, বাংলার রাত-দিন,
পৃথিবীজোড়া একই প্রবাহ আছে-রবে চিরদিন।

খেয়ালের দোষে দুষ্ট যেজন জ্বালিয়ে হরষ বাতি,
প্রেমের বন্ধন করেছে ছিন্ন-ভিন্ন পেতে মিছে খ্যাতি।
হাজার বছর ধরে গড়িয়াছি যে ইমারত,
ভুমিতে লুটানোর ইচ্ছে হলো তুমিও মহৎ!
সেই আদর্শ করেছে ধারন ওহে ও-দুষ্ট গোষ্ঠি,
তাই দিয়েই অবশেষে করেছো তোমার সবার ষষ্টি।

গড়েছো জীবন চেয়েছো যেমন তেমনই তোমার হলো,
দিয়েছিলে তুমি, দিয়েছে তোমার স্বজাতি তেমন রলো।
হায় জগতের জীবকূল, প্রানীকূল আছো যত,
সুখী হও জগৎ-সংসারে ফিরিয়ে দাও ততো।

ঘর নাই যার বাড়ী নাই, ক্ষুধা ও অসুখে ভোগে,
শিক্ষা ও সব চাহিদার অপুর্নতা, আক্রান্ত জরা-শোকে।

উমও আছে শীতে, আছে গরমে শীতল বায়ু,
মুক্তি এসেছে স্বাধীনতা এইতো বেড়েছে জীবন আয়ু।
বঞ্চিত-পতিত মানবের সমৃদ্ধির কমনওয়েলথ,
আমার নগর-গ্রামে এসেছে বার্তায় রানী এলিজাবেথ।

২.
নির্ঝরের স্বপ্নভঙ্গ হয়েছে আঁধার যুগের,
কমনওয়েলথ প্রেম ও দয়ারুপে অন্তরের।
ওহে বিপথগামী আধার যুগের যাত্রী সকল,
উন্নয়নের প্রবাহে এসেছে গতি চাকাও সচল।

ছয়টি মহাদেশের তিপ্পান্নটি রাষ্ট্র অবিচল,
আরো কিছু জাতিসত্তা, স্বায়ত্বশাসিত অঞ্চল।
গুনগুন করে সুনসান পরিপাটি একদা কমনওয়েলথ,
বৃহৎ জাতীয়তা, প্রধান হলেন রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথ।

জাতীয়তা পরিচয় আমাদের কমনওয়েলথ,
সম্মিলিত বৃহৎ জাতি গনতান্ত্রিক কমনওয়েলথ।
এন্টিগুয়া থেকে জাম্বিয়া, বাংলাদেশ থেকে নতুন জিয়াভুমি,
আমার কবিতা ও লিখায় আপনীই চলে আসো তুমি।

সে কি তব মোর ভালবাসা-ভাললাগার আনাগোনা,
ক্যামনে লিখবে কবি সে সকল মহাপরিকল্পনা?
তিনদিনে পাও নি দেখা বন্ধুর মোট চারদিনেও,
পঞ্চম দিনে এসেছে বন্ধুবর অষ্টমে চলে যাও।
নবমে এসেছে এম্পায়ার, দশমে কমনওয়েলথ,
তিনি ম্যাজেট্রি মহারানী দ্বিতীয় এলিজাবেথ।

যে রাষ্ট্রেরই নাগরিক আছেন-হয়েছেন আপনী,
উন্মুক্ত আছে কমনওয়েল জেনে নিন কিছু এখনি।
এই কমনওয়েলথ সেই কমনওয়েলথ যা ছিল ভিশন সবার,
যা চেয়েছেন তাতো পেয়েছেন দ্বিধা-দ্বন্ধ কেন আবার!

তবে আসুন কমনওয়েলথ জাতীয়তার মানুষ সকল,
আপন ও পরের উন্নয়নে সাম্ভাব্য সবকিছু করে নিই সচল।
যতদিন আছে কমনওয়েলথ আপনার শহর-গ্রামে,
কমিউনিটি-সোসাইটিতে উন্নত করুন মেধা-ঘামে।
যে দৃঢ় অঙ্গীকার বাস্তবায়নের পরিকল্পনা আছে,
আপনীই এসেছে কমনওয়েলথ আপনার কাছে।

দেখবেন কখনো কমনওয়েলথ’এর ডেমোক্রেসি পার্লামেন্টে যান;
টেন্থ ন্যাশনালিষ্ট কমনওয়েলথ পার্টিজ-এনসিপি টেন ওয়ান।
আছেন যেথায় ভোটার; পার্লামেন্ট, সেক্রেটারিয়েট, হাউজ,
সব রাষ্ট্র ও মানুষের উন্নয়নে নিবেদিত এনসিপি টেন ওয়ান পার্টিজ।

৩.
কমনওয়েলথ এর গল্প বলি শোনো তবে বন্ধুরা,
কমনওয়েলথ জাতীয়তায় এডমিশন নিয়েছি আমরা।
মহারানী, দয়া ও ভালবাসার রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথ,
তিপ্পান্নটি স্বাধীন রাষ্ট্রসহ শ’খানেক দেশের কমনওয়েলথ।

কমনওয়েলথ কমনওয়েলথ কমনওয়েলথ,
কি বা কাহারা এই কমনওয়েলথ কেইবা রানী এলিজাবেথ?
নতুন প্রজম্নের কাছে জানাই, পিতা-মাতামহদের যুগে,
উদিত ব্রিটিশ এম্পায়ার নবম নেতৃত্ব ছিলো আগে।

সেই এম্পায়ার এখন নেই, যুগ এসেছে বিজ্ঞান ও কম্পিউটার,
এসেছে গনতন্ত্র, অধিকার সীমাহীন স্বাধীনতার।
আবার গঠিত হয়েছে দশম নেতৃত্বে কমনওয়েলথ,
সহযোগিতার ইতিহাস দীর্ঘ ও সম্মানের রানী এলিজাবেথ।

কমনওয়েলথএ আছে ডেমোক্রসি ও সব দেশের সরকার,
সবকিছু সামলাতে কেন্দ্রীয় রাজনৈতিক দলসমুহ দরকার,
টেনথ্ ন্যাশনালিষ্ট’ কমনওয়েলথ পার্টিজ – এনসিপি10 (এনসিপি টেন ওয়ান),
আর কমনওয়েলথ জাতীয়তায় বিশ্বাসী নিজ নিজ দেশের নাগরিকগন।

টেকসই ও উন্নত জীবন, ফ্যাসিলিটি ও টেকনোলজি,
কমনওয়েলথের আছে স্বর্নালী ইতিহাস সহযোগিতার ও রুজি।
অগনিত ও জানা-অজানা ত্যাগ-নিঃস্বার্থের কমনওয়েলথ,
আমরাও চাই কমনওয়েলথ আসুক দ্বারে বার্তায় রানী এলিজাবেথ।

শিশু-কিশোর, তরুন-তরুনী, স্বপ্নচারী মানুষ যত,
রাজপুত্র-রাজকন্যার আবেদনময়ী উপ্যাখ্যান ততো।
মনের কোনে, আনাচে-কানাচে, গল্প আসরের পাঠ ও শ্রবন,
কল্পনার ভাষা সত্যি হয়েছে অবশেষে হোকনা হলেও মরন।

শিক্ষা আমার মৌলিক অধিকার, কর্ম ও সংসার জীবন,
শিক্ষাই পারে একই সুযোগ-সুবিধা দিতে যারা ভিন্নভিন্ন শ্রেনীর জনগন।
যতদূরে চলে যাও তুমি‌ পরিচয় আমার,
আমার চিন্তা সকল কাজে কমনওয়েলথই সংসার।
কমনওয়েলথ এনেছে সকল অধিকার ও স্বাধীনতা,
পৃথিবীজুড়ে সবকাজে-সবখানে পরিচয় দিন কমনওয়েলথ জাতীয়তা।

৪.
আমি তোমার প্রশংসা করি কমনওয়েলথ,
মহিমান্বিত গৌরব হোক তোমার রানী এলিজাবেথ।
মহিমান্বিত তুমি, অনেক সহনশীল আর-
তুমি অদেখা ভালবাসর প্রকাশ্য রুপ প্রভুর।
তুমি উন্নত, তুমি চির প্রতিষ্ঠিত, তুমি যেন চিরাটল,
এনসিপি টেন ওয়ান কমনওয়েলথে আমার রাজনৈতিক দল।
কমনওয়েলথকে নিয়ে আমার রাজনীতি যারা পাগলামী বলে,
কত কথা, সমালোচনা, ইর্ষা, কটুক্তি করে সবে শত ছলে।
কিন্তু সবার প্রশ্ন, সমালোচনা, কটুক্তির উত্তর দেব কি করে?
তবুও অল্প কথায় মহিমান্বিত করবো কমনওয়েলথ তোমারে।

তুমি কি দেখেছো কভু ইতিহাসের পৃষ্ঠা খুলে,
কখনো কি উদিত হয়ে চিন্তায় চেতন-অবচেতন মনে ভূলে?
সফল ও দীর্ঘ দশম লিডারশিপ ইংল্যান্ডের কমনওয়েলথ,
শতশত লিডারশিপ পার করে ইংল্যান্ড আজকের রানী এলিজাবেথ।
বর্তমানের পৃথিবীর সবচেয়ে পুরানো একমাত্র লিডারশিপ,
কমনওয়েলথ রুপে এসেছে আজি গ্রেট ব্রিটেন লিডারশিপ।

কমনওয়েলথের আছে দীর্ঘ ও সম্মানিত ইতিহাস,
উন্নয়ন ও সহযোগিতা সদস্য দেশে আর নাগরিক যারা করে বসবাস।
বিজ্ঞান, সভ্যতা, সংসারের প্রতিটি নতুন যুগে,
অভাবী, পথভ্রষ্ট, দিকভ্রান্ত মানুষকে সহযোগিতা দিয়েছে সবার আগে।

দিনে-দিনে, যুগে-যুগে তুমি কমনওয়েলথ,
তুমি এসো রুপ-অরুপে আর কোনো রানী এলিজাবেথ।
যেমন তোমার প্রচার করি আমি, গৌরব ও প্রশংসা,
কমনওয়েলথের জনগন ধারন করেছে আমার পার্টি, দিয়েছি তাদের আশা।

কমনওয়েলথের সেইসব অভাবী ও আশাবাদী জনগন,
পরিকল্পনা আছে জানে রাজনৈতিক দল এনসিপি টেন ওয়ান।
পরিকল্পনা আছে উন্নত জীবন ও সমৃদ্ধির সবক্ষেত্রে,
আর যখন বিদেয় হবে কমনওয়েলথ রেখে যাবে আরোএক আশা তাতে।

৫.
আমার জাতীয়তা কমনওয়েলথ বিশ্বে পরিচিত হলাম,
আমার দেশ জম্নভূমি বাংলাদেশ স্বাধীন ও সার্বভৌম।
আনবে সমৃদ্ধি ও উন্নতি দেশে-দেশে এই কমনওয়েলথ,
ইউনাইটেড কিংডমের নেতৃত্ব যার রানী এলিজাবেথ।

ব্রিটিশ কমনওয়েলথ ছিলো একটি এম্পায়ার পুর্বে,
এই জাতীয়তায় আছে তিপ্পান্নটি দেশ যার বাংলাদেশ দক্ষিনে।
পশ্চিমা-প্রাচ্যত্ব সভ্যতায় নয় তবে কোন আবহে উন্নতি?
উত্তর তায় নিজ-নিজ সংস্কৃতি শিক্ষা স্বাধীনতা সার্বিক অগ্রগতি।

উত্তর চাওয়া নয় তেমন কিছু পাওয়ার,
সম্পদ আছে বাংলাদেশে অঢেল ভরপুর।
অতীতে একটা সময় ছিলো সভ্যতা ও শিক্ষার দুরত্ব,
শিক্ষা সমৃদ্ধি অধিকার সভ্যতায় হবে সবে উন্নত।

অভিরাম ছুটে চলা ভবিষ্যতের পথে আমাদের,
গ্রাম-পাড়াগাঁয়ের দেশে এসেছে কমনওয়েলথ সমৃদ্ধির,
আকাশ থেকে ভুমি, অতল-পাতাল সমুদ্র,
শান্তি-শীতল বাতাস প্রশান্তির যা হয়েছে রুদ্র।

তোমার আমার কমনওয়েলথ তব এই জাতীয়তা,
ম্যান্ডেট হোক একই পরিচয় যেথায় আছে সবার আস্থা।