জাতীয় কবির প্রয়াণ দিবস আজ

কাজী নজরুল ইসলাম, শাশ্বত জীবনসত্যের প্রত্যয়নিষ্ঠ ভাষক। জাতীয় কবির ৪১তম প্রয়াণ দিবস আজ। কাব্য আর সংগীতে তিনি প্রতিষ্ঠা করতে চেয়েছেন অভেদ ও সুন্দর সাম্যকে। এর বাইরেও নিমগ্ন এই স্রষ্টাকে গভীরভাবে পাওয়া যায়, ‘যদি আর বাঁশি না বাজে শীর্ষক অভিভাষণে’। আত্মপরিচয়ের চাবিকাঠি এই অভিভাষণে পাঠক মাত্রই নজরুলের অন্তরমহলে প্রবেশ করতে পারে খুব সহজেই।

সৃষ্টি সুখের উল্লাসে, প্রাণ হাসে, মন হাসে। তবে খুব সহজ ছিল না, বহু নিষেধাজ্ঞার অংসখ্য পাঁচিল টপকে সৃষ্টির পথে হাঁটতে হয়েছে তাকে। অসম্ভবের সম্ভবনার যুগে জন্মেছিলেন। তাইতো, সেনা দলের তূর্য বাদক হতে হয়েছে নজরুলকে। তার বড় পরিচয়? তিনি নিজেই তুলে ধরছেন।

লোভী-অসুরের যক্ষের ব্যাংকে কোটি কোটি টাকা পাষাণস্তূপের মত জমা হয়ে ছিল, এর বিপরীতে নজরুল দেখেছেন সীমাহীন দারিদ্র্য। স্বভাবতই প্রতিবাদ ছিল এই অসাম্যের বিরুদ্ধে।

সুন্দরের হাতে বীণা পায়ে পদ্মফুলই শুধু নয়, চোখ ভরা জলও তাকে দেখতে হয়েছে। তাকে যেতে হয়েছে শ্মশান ও গোরস্থানের পথেও। সঙ্গত কারণেই আনন্দ-বেদনা গান গাইতে হয়েছে তাকে।

আলোকউদ্ভাসিত কাজী নজরুল সমকাল পেরিয়ে মহাকালেও শক্তি যোগান।

মৃত্যু আর মৃত্যুহীনতার মাঝে নৈঃশব্দ্যের সেতুবন্ধ তৈরি করেছেন কাজী নজরুল ইসলাম। তাইতো, ১১ই ভাদ্র নিঃসশেয়, নির্বিবাদে বাঙালির নিজেদের ফিরে পাবার মহাআয়োজন।