‘জানুয়ারিতে নির্বাচন আয়োজন কঠিন : ইসি সচিব

জানুয়ারিতে নির্বাচন আয়োজন করা কমিশনের জন্য কষ্টদায়ক হবে বলে মন্তব্য করে নির্বাচন কমিশন সচিব হেলাল উদ্দিন জানিয়েছেন, জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের দাবির বিষয়টি পর্যালোচনা করে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।

বুধবার (১৪ নভেম্বর) রাতে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ে সাংবাদিকদের তিনি একথা জানান।

এছাড়া পল্টনের বিএনপি নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের ঘটনা অনাকাঙ্ক্ষিত উল্লেখ করে, এ বিষয়ে পুলিশের কাছে জানতে চাওয়া হবে বলেও জানান তিনি।

এরআগে এর আগে বিকেল সাড়ে ৩টায় ইসির সঙ্গে বৈঠকে বসেন ঐক্যফ্রন্টের নেতারা। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদা। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পুনঃতফসিলসহ সামগ্রিক বিষয়ে আলোচনার জন্য ইসিতে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের মুখপত্র এবং বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর জানান, ভোটের তারিখ ৩ সপ্তাহ পেছানোসহ ঐক্যফ্রন্টের দাবিগুলো নির্বাচন কমিশন বিবেচনার আশ্বাস দিয়েছে।

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমরা নির্বাচন তিন সপ্তাহ পিছিয়ে দেয়ার দাবি করেছিলাম। তারা বলেছেন, তারা আলোচনা করে এ ব্যাপারে তারা সিদ্ধান্ত নেবেন।’

নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহারের নিয়ে ইসির সঙ্গে আলোচনার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা বলেছি, নির্বাচনে ইভিএম একেবারেই ব্যবহার করা যাবে না। তারা বলেছেন যে, তারা সব কেন্দ্রে বা বড় আকারে এটা ব্যবহারের কথা চিন্তা করছেন না। তারা শুধু সিটি করপোরেশগুলো সীমিত আকারে ইভিএম ব্যবহারের চিন্তা করছেন। এটা এখনো তাদের চিন্তার মধ্যেই আছে। তারা এটাও বলেছেন যে, যদি আমরা তাদের বুঝাতে পারি যে, ইভিএম পদ্ধতি পুরোপুরি নিরাপদ নয় তাহলে সেটাও তারা বিবেচনা করবেন।’

বৈঠকে ড. কামাল হোসেন ও মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ছাড়াও বিএনপির খন্দকার মোশারফ হোসেন, মওদুদ আহমদ, আবদুল মালেক রতন, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের কাদের সিদ্দিকী, গণফোরামের সুব্রত চৌধুরী, মোস্তফা মহসিন মুনটু, মোকাব্বির খান, নাগরিক ঐক্যের মাহমুদুর রহমান মান্না, এস এম আকরাম, জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ার সুলতান মো. মনসুর আহমদ অংশ নিয়েছেন।

পুনঃনির্ধারিত তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন ২৮ নভেম্বর, মনোনয়নপত্র বাছাইয়ের দিন ২ ডিসেম্বর, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন ৯ ডিসেম্বর এবং ভোটের দিন ৩০ ডিসেম্বর।