জাবিতে ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে চাদাঁবাজির অভিযোগ

শাহাদাত হোসাইন স্বাধীন, জাবি থেকে : জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের দুই নেতার বিরুদ্ধে বেকারির মালিকের নিকট থেকে চাঁদা আদায়ের অভিযোগ পাওয়া গেছে। চাঁদা না দেওয়া পর্যন্ত ওই বেকারীর পণ্যবাহী গাড়ি ক্যাম্পাসে ঢুকলে পুড়িয়ে দেওয়া হবে বলে হুমকিও দিয়েছেন ছাত্রলীগের ওই নেতারা।

অভিযুক্তরা হলেন, শাখা ছাত্রলীগের সহসভাপতি ও পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী বায়জিদ খান এবং উপ দপ্তর সম্পাদক ও নৃবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী মাজেদুল হক রাজন। তাঁরা দুজনই ৪১তম ব্যাচের (স্নাতকোত্তর) শিক্ষার্থী এবং বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর হলের আবাসিক ছাত্র।

ঢাকার সাভারের ‘মঙ্গল বেকারি’র মালিক মোহাম্মদ সবুজ সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করে বলেন, ‘গত বৃহস্পতিবার রবীন্দ্রনাথ হলে পণ্য পৌঁছে দিতে আসেন মঙ্গল বেকারির প্রতিনিধি রূপ মিয়া। এসময় রূপ মিয়াকে আটকে বেকারির পণ্য স্বাস্থ্যসম্মত নয় বলে অভিযোগ করেন বায়জিদ ও মাজেদুল। এই বেকারির পণ্য আর ক্যাম্পাসে আনা যাবেনা বলে জানান ছাত্রলীগের ওই দুইজন নেতা। সেদিন থেকে পণ্য পরিবহন বন্ধ রাখে মঙ্গল বেকারি। পরবর্তীতে গত সোমবার সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা ও মানবিকী অনুষদ ভবনে বায়জিদ ও মাজেদুল বেকারি মালিকের সাথে দেখা করেন। এ সময় তাঁরা ২০হাজার টাকা চাঁদা দাবি করেন। চাঁদা না দেওয়া পর্যন্ত বেকারির পণ্যবাহী গাড়ি ক্যাম্পাসে ঢোকানো যাবেনা বলে হুমকি দেন তাঁরা।

অভিযোগের ব্যাপারে শাখা ছাত্রলীগের সহসভাপতি বায়জিদ খান বলেন, ‘ওই বেকারির পণ্যের ট্রেডমার্ক ও মেয়াদ উল্লে ছিলনা। তাঁদের পণ্য খেয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের দুইজন ছাত্র অসুস্থ্য হয়ে পড়ে। তাই আমরা ওদের পণ্যের মান উন্নয়নের কথা বলি এবং অসুস্থ্য ছাত্রদের চিকিৎসার ভার নিতে বলি। এর বেশি কিছু না।’

মাজেদুল হক বলেন, ‘অসুস্থ্য ছাত্ররা হাসপাতালে ভর্তি ছিলো। আমরা বেকারি মালিকদেরকে হাসপাতালে এসে ছাত্রদের সাথে দেখা করে যেতে বলেছি। তাঁরা তা করেনি। পরে ওরা নিজেরাই জরিমানা দিতে চেয়েছিলো। আমরা না করে দিয়েছি।’

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর সিকদার মো. জুলকারনাইন সাংবাদিকদের বলেন, ‘এ ধরণের কোন অভিযোগ আমরা পাইনি। এটা ফৌজদারী আইনের লঙ্ঘন বলে ভুক্তভোগী থানায় মামলা করতে পারেন। তবে আমরা অভিযোগ পেলে বিষয়টি খতিয়ে দেখবো।’