জাবির পাঁচ শিক্ষার্থী বহিষ্কার

ছিনতাই, সাংবাদিক ও ছাত্রী মারধরের ঘটনায় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের তিন শিক্ষার্থীকে আজীবন এবং দুইজনকে দুই বছরের জন্য বহিষ্কার করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ের শৃঙ্খলা কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে রাতে উপাচার্য ফারজানা ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত জরুরি সিন্ডিকেট সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

আজীবন বহিষ্কৃত তিন শিক্ষার্থী হলেন- লোক প্রশাসন বিভাগের ৪৭তম আবর্তনের রাফিউ শিকদার, মোস্তাফিজুর রহমান ও সোহেল রানা। ছিনতাইয়ে বাঁধা দেওয়ায় তারা তিন জন বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত চ্যানেল আই অনলাইনের প্রতিনিধি মাহমুদুল হক সোহাগ ও তার বান্ধবীর উপর হামলার ঘটনায় অভিযুক্ত।

অন্যদিকে ওই তিন জনের সঙ্গে ২৫ নভেম্বরের ছিনতাইয়ের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে বাংলা বিভাগের ৪৭তম আবর্তনের আসিফ আহমেদ ও সজিব গাজীকে দুই বছরের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে। এরা সবাই শহীদ রফিক জব্বার হলের আবাসিক শিক্ষার্থী এবং শাখা ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত বলে জানা গেছে।

তবে শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি জুয়েল রানা জানিয়েছেন ‘বহিষ্কৃতরা কেউ ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত নয়। তারা রাজনীতির সঙ্গে জড়িত থাকলে আমরা ছিনতাইকারী হিসেবে তাদের প্রশাসনের হাতে তুলে দিতাম না।’ তবে প্রশাসনের এই সিদ্ধান্তকে তারা সাধুবাদ জানিয়েছেন।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার রহিমা কানিজ বলেন, ‘বহিষ্কৃতদের ক্যাম্পাসে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হয়েছে। তারা একাডেমিক কার্যক্রমে অংশ নিতে পারবে না এবং আবাসিক হলেও থাকতে পারবে না। যদি ক্যাম্পাসে তাদেরকে দেখা যায়, তবে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার মাধ্যমে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

গত ২৫ নভেম্বর জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাপ্তাহিক কোর্স আইবিএ’র শিক্ষার্থী জাহেদুর রহমান অর্ণব ও তার বান্ধবী রোকাইয়া হামিদ সেতু বিশ্ববিদ্যালয়ের বোটানিক্যাল গার্ডেন এলাকায় ঘুরতে গেলে বহিষ্কৃত পাঁচ শিক্ষার্থী তাদের মারধর করেন এবং মোবাইল ও টাকা পয়সা ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন।

ওই সময় পাঁচ শিক্ষার্থীকে হাতেনাতে ধরে ফেলেন শাখা ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতাকর্মী। বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে জানালে তাদেরকে আটক করে প্রক্টর অফিসে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে এ ঘটনায় বিচার চেয়ে জাহেদুর রহমান বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দেন।