জামানত হারিয়ে হিরো আলম বললেন ওরা ‘জিরো’

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আলোচিত স্বতন্ত্র প্রার্থী আশরাফুল ইসলাম ওরফে হিরো আলমের জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে। প্রাপ্ত ভোটের ১০ ভাগের ১ ভাগ ভোট না পাওয়ায় তার জামানত বাজেয়াপ্ত হয়।

বগুড়া-৪ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে নির্বাচনে অংশ নিয়ে সিংহ প্রতীকে মাত্র ৬৩৮টি ভোট পেয়েছেন হিরো আলম। ফলে জামানত হারান তিনি। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বগুড়া জেলার জ্যেষ্ঠ নির্বাচন কর্মকর্তা মাহবুব আলম শাহ।

তিনি বলেন, নির্বাচনের আগে প্রত্যেক প্রার্থীর জামানত হিসেবে জমা থাকে ২০ হাজার টাকা। নিয়মমাফিক মোট প্রদত্ত ভোটের এক অষ্টমাংশের নিচে কেউ ভোট পেলে তার জামানত বাজেয়াপ্ত হয়। সে হিসাবে বগুড়ায় সাতটি আসনে ৩৪ জন প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে। এই প্রার্থীদের মধ্যে আশরাফুল হোসেন ওরফে হিরো আলমও একজন।

রোববার একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। বগুড়া-৪ আসনে সিংহ প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে অংশ নেন হিরো আলম। কিন্তু ওই দিন হামলা-মারধর ও এজেন্টকে বের করে দেয়াসহ একাধিক অভিযোগ এনে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ান তিনি।

এ বিষয়ে হিরো আলম বলেন, ভোটর মাঠে কিন্তু আমি জিরো হইনি, হিরোই আছি। কি কারণে ভোটের মাঠে আমি মার খেলাম। আমি যদি হিরো না হতাম তাহলে আমাকে দেখে ওরা ভয় পায় কেন? আমাকে কেন ভোট করতে দিল না তারা? কেন ভোটকেন্দ্রে ঢুকতে দিল না? আমার কোনো কর্মীকে কেন থাকতে দিল না? কেন এজেন্টদের থাকতে দিল না? অবশ্যই আমি ভোটের মাঠে হিরো। কি কারণে, যে জায়গায় আওয়ামী লীগের নৌকা মার্কার প্রার্থী, হিরো আলমের এজেন্টদের ঢুকতে দেয় না, হিরো আলমকে ওরা মারধর করে। তাহলে সে জায়গায় আওয়ামী লীগের থেকে আমিই তো শক্তিশালী মনে হয়।

হিরো আলম আরও বলেন, ভোটের মাঠে তো আমি হেরে যাইনি। যদি সুষ্ঠু নির্বাচন করত, আমাকে মারধর না করত, তাহলে মনে করতাম আমি জিরো। যেহেতু ভোটের মাঠে আমার কর্মীদের থাকতে দেয়নি, ভোটারদের ভোট দিতে দেয়নি। আমাকে ঢুকতে দেয়নি, সে জায়গায় তো আমি জিরো না। অবশ্যই আমি হিরো, ওরা জিরো।

হিরো আলম আরও অভিযোগ করেন, নির্বাচনের একদিন আগে আমার নির্বাচনী অফিস ভাঙচুর ও সব পোস্টার ছিঁড়ে ফেলা হয়েছে। সুষ্ঠু নির্বাচন হলে আমার জয় সুনিশ্চিত ছিল।