জামায় এই লুপের রহস্য জানেন কী?

কেন এই লুপ পুরুষদের জামা রাখা হয়, তাও অনেকের কাছেই অজানা। তবু থাকে।

শুধু কি ফ্যাশন? নাকি এর অন্য কোন কার্যকরিতাও আছে? বস্তুত কাজে লাগে না বলেই অধিকাংশ পুরুষ এই লুপের কথা ভুলে থাকেন। কিন্তু একটা বিশেষ প্রয়োজনেই এর সূত্রপাত। পুরুষদের ফ্যাশনে বহু বিবর্তন হয়েছে। আর ছয়ের দশক থেকে এই লুপ পুরুষদের জামার অত্যাবশকীয় অংশ হয়ে গেছে।

কিন্তু কেন এই লুপ? জানা যাচ্ছে, এই ধরনের লুপকে বলা হত ‘লকার লুপ’। ইস্ট কোস্ট নাবিকদের জন্যই পোশাকে এই বিশেষ অংশটির সংযোজন হয়েছিল। দিনের পর দিন সমুদ্রে কাটাতে হত তাদের। জামা পরিষ্কার করে হ্যাঙ্গার ছাড়াই এই লুপের সাহায্যে তারা ঝুলিয়ে দিতেন কোন তারে। তাতেই শুকনো হত জামা।

তাছাড়া এই লুপটি এমন অবস্থানে থাকে যে, এইভাবে জামা ঝুলিয়ে রাখলে তাতে ভাঁজও পরে না। ফলে পরদিন আবার ওই পোশাকই পরতে পারতেন নাবিকরা। অনেক সময় জাহাজের হুকেই জামা ঝুলিয়ে রাখতেন তাঁরা। ফ্যাশনের দুনিয়ায় এই লুপকে বলা হয় ‘লকার লুপস’।
মূলত এই সুবিধার জন্য লুপের আবিষ্কার। কিন্তু নাবিকদের কার্যকরিতা টপকে তা উঠে আসে স্থলভূমিতেও। আর ফ্যাশন জগতে রীতিমতো হলুস্থূল লাগিয়ে দেয়। নাবিকদের প্রয়োজন এতদিনে ফুরিয়েছে। কিন্তু ফ্যাশনের জগত থেকে এই লুপের বিদায় হয়নি। আর তাই আজও পুরুষদের পোশাকে থাকে এই ‘লকার লুপস’। ফ্রুট লুপস বলেও তা জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। জানা যায়, আধুনিক সময়ে ছেলেদের রিলেশনশিপ স্ট্যাটাসও নির্ধারণ করে এই ফ্রুট লুপ। কোথাও কোথাও এরকমও রেওয়াজ আছে যে, মহিলারা তাঁদের পছন্দের পুরুষের শার্টের লকার বা ফ্রুট লুপটি ছিঁড়ে দেন। তাতেই তাঁদের পছন্দের ঠিকানা লেখা থাকে। আবার আইভি ডেটিং কালচারে পুরুষরা কমিটেড বোঝাতে নিজেরাই লুপটি ছিঁড়ে রাখেন। অর্থাৎ এনগেইজমেন্ট রিংয়ের যা কাজ, এই লুপই যেন প্রকারন্তরে সে কাজ করে দেয়। যদিও এখন সেরকম কোন কিছুই প্রয়োজনীয়তা নেই। কেবল ফ্যাশন হয়েই শার্টের পিছনে ঝুলে থাকে ছোট্ট লুপটি।