জিততে হলে ৩২২ রান করতে হবে বাংলাদেশকে

বাংলাদেশকে সামনে পেলেই যেন সেঞ্চুরির নেশা পেয়ে বসে শাই হোপের। তার সর্বশেষ ৫ সেঞ্চুরির ৩টিই বাংলাদেশের বিপক্ষে। টন্টনে বাংলাদেশকে পেয়ে আজও সেঞ্চুরি প্রায় করেই ফেলেছিলেন। তাতে বাধ সাধেন মোস্তাফিজুর রহমান। হোপকে লিটন দাসের ক্যাচে পরিণত করেন তিনি। ফলে ৪ রানের আক্ষেপ নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয় হোপকে।

এদিন প্রথমে ব্যাট করে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৮ উইকেটে ৩২১ রান করেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। অর্থাৎ জয় পেতে ৩২২ রান করতে হবে বাংলাদেশকে।

টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিং নিয়ে শুরুটা ভালোই হয়েছিল বাংলাদেশের। মাশরাফি ও সাইফউদ্দীন দারুণ চাপে রাখনে দুই ক্যারিবীয় ওপেনারকে। এর মধ্যে নিজের দ্বিতীয় ওভারেই ক্রিস গেইলকে তুলে নেন সাইফউদ্দীন। দুর্ধর্ষ এই ব্যাটসম্যান এদিন ১৩ বল খেলেও রানের খাতা খুলতে পারেননি।

এরপর অবশ্য এভিন লুইস ও হোপ মিলে দারুণ এক জুটি গড়ে তোলেন। দুইজনের জুটিতে শতরানের কোটা পার করে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। তবে ইনিংসের ২৫তম ওভারে লুইসকে আউট করে দলকে ব্রেক থ্রু এনে দেন সাকিব আল হাসান। তার আগেই অবশ্য ৬৭ বলে ৭০ রানের দারুণ এক ইনিংস খেলে ফেলেছেন লুইস।

লুইসের বিদায়ের পর ঝড় তোলেন শিমরন হেটমেয়ার। তার ঝড় থামান মোস্তাফিজ। ৩টি ছয় ও ৪টি চারে সাজিয়ে ২৬ বলে ৫০ রান করেন হেটমেয়ার। তার আগে অবশ্য নিকোলাস পুরানকে (২৫) আউট করেন সাকিব।

একই ওভারের শেষ বলে আন্দ্রে রাসলকেও ফিরিয়ে দেন ফিজ। গেইলের মতো এই বিগ হিটারও রানের খাতা খুলতে পারেননি।

এরপর অধিনায়ক জেসন হোল্ডার এসে ঝড় তোলেন। তাকে ফেরান সাইফউদ্দীন। ১৫ বলে ৩৩ রান করেছেন ক্যারিবীয় অধিনায়ক।

উইন্ডিজের ইনিংসের সর্বোচ্চ রান এসেছে হোপের ব্যাট থেকেই। একটি ছক্কা ও ৪টি চারে সাজিয়ে ১২১ বলে ৯৬ রান করে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে বড় রানের ভীত গড়ে দেন তিনিই।

বাংলাদেশের হয়ে ৩টি করে উইকেট নিয়েছেন মোস্তাফিজ ও সাইফউদ্দীন। সাকিব নিয়েছেন ২ উইকেট।