জি ৭ সম্মেলনে প্রথম দিনেই বিচ্ছিন্ন ট্রাম্প

জি-৭ সম্মেলনের প্রথম দিনেই অন্যান্য দেশের নেতৃবৃন্দ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়লেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। বাণিজ্য শুল্কের বিষয়ে ট্রাম্পের সিদ্ধান্ত এবং রাশিয়াকে জি-৭ সম্মেলনে অন্তর্ভূক্ত করার বিষয়ে মন্তব্য করে ইউরোপীয় নেতাদের থেকে আলাদা অবস্থানে সরে গেলেন এই মার্কিন প্রেসিডেন্ট। খবর বিবিসির।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, শিল্পোন্নত দেশের জোট জি-৭ এ রাশিয়াকে অন্তর্ভুক্ত করা উচিত। শুক্রবার কানাডার কুইবেক প্রদেশে জি-৭ সম্মেলন শুরু হয়েছে। সম্মেলনের আগেই এমন মন্তব্য করেছেন ট্রাম্প।

তবে জার্মানির চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মেরকেল বলেছেন, কানাডায় জি-৭ সম্মেলনে যোগ দেয়া ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্যদের সবাই ট্রাম্পের এমন সিদ্ধান্তের বিরোধীতা করেছেন।

ডোনাল্ড ট্রাম্পের এমন মন্তব্য যুক্তরাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ মিত্রদের চেয়ে পুরো ভিন্ন। জি-৭ সম্মেলনে যাওয়ার আগে হোয়াইট হাউসে সাংবাদিকদের উদ্দেশে ট্রাম্প বলেন, এই সম্মেলনে রাশিয়ার থাকা উচিত। তাদের উচিত রাশিয়াকে ফিরতে দেয়া। কেননা আমাদের উচিত রাশিয়াকে আলোচনার টেবিলে রাখা।

এর আগে বৃহস্পতিবার ফরাসি প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাক্রোঁ এবং কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর সঙ্গে টুইটারে বিতর্কে জড়িয়ে পড়েন ট্রাম্প। ফলে জি-৭ সম্মেলনের জলবায়ু পরিবর্তন ও পরিবেশ বিষয়ক আলোচনা শুরুর আগেই তা থেকে নিজেকে প্রত্যাহার করে নেন ট্রাম্প।

শুক্রবার এমানুয়েল ম্যাক্রোঁর সঙ্গে সাক্ষাতে বাণিজ্য বিষয়ে কথা বলেন ট্রাম্প। সে সময় ম্যাঁক্রো জানান, তার বিশ্বাস সব পক্ষই একটি চুক্তিতে আসার বিষয়ে ইচ্ছুক।

রয়টার্স নিউজ এজেন্সি ফরাসী প্রেসিডেন্সিয়ালের এক কর্মকর্তার উদ্বৃতি দিয়ে জানিয়েছে, ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তির বিষয়ে কথা বলতে আগামী দু’সপ্তাহের মধ্যে একটি প্রযুক্তিগত স্তরে আলোচনার বিষয়ে সম্মতি জানিয়েছে।

কানাডার তরফ থেকে জানানো হয়েছে, বাণিজ্য শুল্কের বিষয়ে ট্রাম্পের সিদ্ধান্ত অবৈধ। একই সময়ে ইউরোপীয়ান কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড টাস্ক বলেছৈন, বাণিজ্য, জলবায়ু পরিবর্তন এবং ইরানের বিষয়ে ট্রাম্পের অবস্থান সত্যিই বিপজ্জনক।

দু’দিনের এই সম্মেলন শেষে সিঙ্গাপুরের সফর করবেন ট্রাম্প। সেখানে উত্তর কোরিয়ার সর্বোচ্চ নেতা কিম জং উনের সঙ্গে তার ঐতিহাসিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা।