জেরুজালেমে ১৪ হাজার বসতি নির্মাণ করবে ইসরায়েল

জেরুজালেমকে ইসরায়েলের রাজধানী হিসেবে ঘোষণা দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তার এমন ঘোষণার পরেই জেরুজালেমে ১৪ হাজার হাউজিং ইউনিট নির্মাণের পরিকল্পনা ব্যক্ত করেছেন ইসরায়েলের নির্মাণ এবং আবাসন মন্ত্রী যুভ গালান। বৃহস্পতিবার হাহাদাসটের এক খবরে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বুধবার এক ঘোষণায় ইসরায়েলের রাজধানী হিসেবে জেরুজালেমকে স্বীকৃতি দেন ট্রাম্প। তার এমন ঘোষণায় ফিলিস্তিনে ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে। বিক্ষুব্ধ ফিলিস্তিনিরা যুক্তরাষ্ট্রের পতাকা পুড়িয়ে বিক্ষোভ করেছে।

অপরদিকে, ইসরায়েলে প্রধানমন্ত্রী বেনজামিন নেতানিয়াহু ট্রাম্পের এমন সিদ্ধান্তে তাকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। জেরুজালেমের উত্তরাঞ্চলীয় আতারোটে ৫ হাজার আবাসন নির্মাণের পরিকল্পণা করছে ইসরায়েল কর্তৃপক্ষ।

অপরদিকে, পিসগ্যাট জে’ভে ১ হাজার, কাটামোনে ৩ হাজার এবং রেচেস লাভেনে আরও ৫ হাজার বসতি নির্মাণের পরিকল্পনা করা হচ্ছে। রামাল্লাহর খুব কাছেই বসতিগুলো নির্মাণ করা হবে।

গালান এক বিবৃতিতে বলেন, ট্রাম্পের এই ঐতিহাসিক ঘোষণার কারণে আমি জেরুজালেমে বসতি নির্মাণকে উন্নত এবং আরো জোরদার করতে চাই।

মন্ত্রী পরিষদের অন্যান্য মন্ত্রীরাও গালানের প্রতি সমর্থন জানিয়েছেন এবং সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, এখন আর কোনো অজুহাতই নেই। ইসরায়েলের রাজধানী হিসেবে জেরুজালেমকে মার্কিন প্রেসিডেন্টের স্বীকৃতির পর সেখানে আমাদের বসতি নির্মাণ না করার ক্ষেত্রে আর কোনো কারণই নেই।

জেরুজালেমকে ইসরায়েলের রাজধানী হিসেবে স্বীকৃতি দেয়া প্রসঙ্গে ট্রাম্প বলেন, ‘আমি মনে করি, জেরুজালেমকে ইসরায়েলের রাজধানী হিসেবে আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি দেয়ার এটাই সময়। তার মতে, ওই অঞ্চলে শান্তি প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার ক্ষেত্রে তার এই ঘোষণা গুরুত্বপূর্ণ।

কিন্তু জেরুজালেমকে ইসরায়েলের রাজধানী হিসেবে ঘোষণা এবং যুক্তরাষ্ট্রের দূতবাস সরিয়ে নেওয়ার বিষয়ে ট্রাম্পের সিদ্ধান্ত এবং এর প্রতিক্রিয়ায় ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের মধ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠার পদক্ষেপ ঝুঁকির মুখে ফেলবে বলে সতর্ক করেছে জাতিসংঘ এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন।

গত কয়েক দশক ধরে জেরুজালেম ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক নীতির বিপরীত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করায় ট্রাম্পের বিরোধীতা করেছে যুক্তরাষ্ট্রের প্রধান মিত্র দেশগুলো। ট্রাম্পের এমন সিদ্ধান্ত শান্তি প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে কোনো ভূমিকা রাখবে না এবং জেরুজালেমে ইসরায়েল ও ভবিষ্যৎ ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের অংশীদারিত্ব থাকা উচিত বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।