‘জোর করে তো আর বিয়ে করতে পারবো না’

অভিনয়, উপস্থাপনা ও মডেলিং সহ নানামুখী কাজে মিডিয়ায় ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন এ্যানি খান । এখন টিভিপর্দায় চোখ রাখলেই দেখা যাবে কোনো না কোনো চ্যানেলে তার পারফম্যান্স। আর সেটার জন্য নিয়মিত ছুটে চলছেন ঢাকার উত্তরা, পূর্বাইল, ময়মনসিংহ, মুন্সীগঞ্জ কিংবা দেশের অন্য কোনো প্রান্তে। ঈদের পর অনেকেই বিশ্রামে গিয়েছিলেন। টানা শুটিংয়ের ক্লান্তি দূর করতে কেউ কেউ পাড়ি জমিয়েছেন দেশের বাইরেও। তবে সে জায়গা থেকে এ্যানি অনেকটা ভিন্ন পথে চলছেন বলা যায়। ঈদের পরপরই শুটিংয়ে যোগ দিয়েছেন। নিয়মিত ধারাবাহিকগুলোর পাশাপাশি বিভিন্ন চ্যানেলে প্রচার চলতি অনুষ্ঠানগুলোর কাজও করেছেন তিনি।

ব্যস্ততা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ঈদে তেমন কোনো কাজ করিনি। দুএকটি নাটকের কাজ ছিল। আর বিভিন্ন চ্যানেলে অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেছি। বিশেষ দিনের কাজ আমার তেমন একটা করা হয় না। এর মধ্যেও যা প্রস্তাব আসে করি। আর ঈদের পর থেকে টানা কাজ চলছেই। নিয়মিত ধারাবাহিকগুলোর কাজ তো আছেই। সঙ্গে লাইভ অনুষ্ঠানগুলোর উপস্থাপনাও করছি।

এ মহূর্তে চ্যানেল নাইনের প্রচার চলতি ‘আগুন আল্পনা’, এসএ টিভির ‘পরম্পরা’ ধারাবাহিক দুটিতে অভিনয় করছেন তিনি। এছাড়া ওয়ালিদ হাসানের ‘জলে ভেজা রঙ’, ‘অন্ধকারে অন্তরালে’ কায়সার আহমেদের

‘ফুলকি’ এবং ‘ছোট বউ’ ও ‘চাপাবাজ’ নামের নতুন ধারাবাহিকগুলোর কাজ করছেন এই মডেল-অভিনেত্রী। কথা প্রসঙ্গে এ্যানি বলেন, এখন ধারবাহিকের কাজ একটু কমিয়ে দিয়েছি। আগের নাটকগুলোই হাতে রয়েছে। ধারাবাহিকের চেয়ে খন্ড নাটকে কাজ করে বেশি ভালো লাগে।

স্বল্প সময়ে দর্শকের কাছকাছি যাওয়া যায়। আর তাছাড়া ধারাবাহিক নাটকে আগের মতো গল্প ভালো নেই। তবে অভিনেত্রী হিসেবে সব নাটকেই কাজ করতে হয়। অবহেলা করার সুযোগ নেই। অভিনয়ের পাশাপাশি টিভি চ্যানেলগুলোতে বেশ কটি অনুষ্ঠান উপস্থাপনায় নিয়ে ব্যস্ত আছেন এ্যানি।

বর্তমানে এসএ টিভিতে প্রতি সোমবার ‘শাইনঅন’, ‘এস এ লাইভ স্টুডিও’, এনটিভিতে ‘গ্লিটার রান্নাঘর’, ‘টি টাইম টি ব্রেক’ এবং এটিএন বাংলায় ‘রকসি রঙের মেলা চার দেয়ালের কাব্য’ অনুষ্ঠানগুলো সঞ্চালনা করছেন তিনি। ক্যামেরার সঙ্গে তার সখ্য সেই ছোটবেলা থেকে। ক্লাস থ্রিতে পড়াকালীনই ফু ওয়াং ফুডসের একটি বিজ্ঞাপনে মডেল হন এ্যানি।

এরপর একাধিক ছোটদের বিজ্ঞাপনে মডেল হয়ে আলোচনায় উঠে আসেন। তখন অবশ্য আলোচনার ব্যাপারটি হয়তো তেমন বুঝতে পারতেন না তিনি। সময়ের পরিক্রমায় মিডিয়ার বিভিন্ন কাজের সঙ্গেই বেড়ে উঠেছেন এ্যানি। বড় হয়ে প্রথম বিজ্ঞাপন করেন বিশিষ্ট অভিনেতা ও নির্মাতা তারিক আনামের সঙ্গে। তখন এসএসসিতে পড়ছিলেন।

হুইল সাবানের একটি বিজ্ঞাপনের মডেল হয়ে নিজেকে ভালোভাবেই মেলে ধরেন। এ্যানি বলেন, ছোটবেলায় কাজটা অত বুঝতাম না। তবে বিজ্ঞাপনের কাজ করতে আমার ভালো লাগতো। বিশেষ করে ক্যামেরার সামনে দাঁড়ানোর ব্যাপারটা উপভোগ করতাম। সেই যে শুরু হলো। এখন মাঝে মাঝে বিরক্ত হই। এত এত কাজ ভালো লাগে না। মাঝের প্রায় লম্বা বিরতি শেষে ফের কাজে নিয়মিত হয়েছেন এ্যানি। এখন সকাল থেকে রাত পর্যন্ত শুটিং নিয়েই পড়ে থাকতে হয় তাকে। অবসর পান না বলেই চলে।

প্রসঙ্গক্রমে এ্যানি বলেন, সারাদিন শুটিংয়ে থাকি। অনেক সময় রাত পর্যন্ত চলে কাজ। খুব খারাপ লাগে। তবে ব্যস্ততার সঙ্গে মানিয়ে নিয়েছি। মাঝে মাঝে খারাপ লাগাটাকে ভালোলাগায় পরিণত করে ফেলি। এভাবেই কেটে যাচ্ছে আমার ব্যস্ত জীবন। কর্মব্যস্ততার কথা তো বললেন এ্যানি। ব্যক্তি জীবনটা কেমন যাচ্ছে জানতে চাইলে বলেন, ব্যক্তিজীবনে আমি কখনো আনহ্যাপি ছিলাম না। আলহামদুলিল্লাহ। বরাবর ভালো ছিলাম। সামনেও থাকবো আশা করি।

বিয়ে করছেন কবে? এমন প্রশ্নের উত্তরে এ পর্দাকন্যা বলেন, জোর করে তো আর বিয়ে করতে পারবো না। আল্লাহ যেদিন ‘কবুল’ বলার তৌফিক দিবেন সেদিনই বিয়েটা হবে। আর সে অপেক্ষাতেই আছি।-এমজমিন