জয়পুরহাটে অগ্নিদগ্ধ হয়ে একই পরিবারের ৮ জন নিহত

জয়পুরহাটে বৈদুতিক শর্ট-সার্কিট থেকে লাগা আগুনের ঘটনায় আহতদের মধ্যে অবশিষ্ট দগ্ধ দুলাল হোসেনও (৭১) মারা গেছেন। চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেওয়ার পথে বৃহস্পতিবার সকালে মারা যান তিনি। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জয়পুরহাট সদর থানার ওসি সিরাজুল ইসলাম।

এ নিয়ে ওই ঘটনায় দগ্ধ পাঁচজনই মারা গেলেন। আর অগ্নিকাণ্ডস্থলেই বুধবার রাতে মারা যায় তিনজন। নিহতরা একই পরিবারের সদস্য।

দুলাল হোসেনসহ দগ্ধ পাঁচজনকে চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেওয়া হচ্ছিল। কিন্তু বৃহস্পতিবার সকাল ৯টার দিকে যমুনা সেতু এলাকায় চারজন মারা যায়। তার ঘণ্টা খানেক না যেতেই মারা গেলেন দুলাল হোসেন।

বুধবার দিনগত রাত ৯টার দিকে শহরের জয়পুরহাট শহীদ জিয়া ডিগ্রি কলেজের অদূরে আরামনগর এলাকার মুরগী ব্যবসায়ী আব্দুল মোমিনের বাড়িতে বৈদ্যুতিক শর্ট-সার্কিট থেকে ওই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।

প্রাথমিকভাবে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে এ অগিকাণ্ডের সূত্রপাত বলে ধারণা করা হলেও এটি বৈদ্যুতিক শর্ট-সার্কিট থেকে ঘটেছে বলে নিশ্চিত করেছেন জয়পুরহাট ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের ইন্সপেক্টর সিরাজুল ইসলাম।

জয়পুরহাট ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স এবং পুলিশ সূত্রে জানা যায়, বৈদ্যুতিক শর্ট-সার্কিট থেকে ছড়িয়ে পড়া আগুনে গৃহকর্তা আব্দুল মোমিন (৩৮), তার মা মোমেনা বেগম (৬২) ও মেয়ে বৃষ্টি (১৪) ঘটনাস্থলেই নিহত হয়। সেইসঙ্গে ওই পরিবারের আরও ৫ সদস্য গুরুতর দগ্ধ হন।

দগ্ধদের দুটি অ্যাম্বুলেন্সে করে ঢাকায় নেওয়ার পথে প্রথমে নিহত আব্দুল মোমিনের স্ত্রী পরিনা বেগম (৩২), তাদের দুই যমজ মেয়ে হাসি ও খুসি (১২) এবং ছোট ছেলে নূর (৬) মারা যায়। সর্বশেষ ঢাকায় না পৌঁছতেই মোমিনের বাবা দুলাল হোসেনও মারা গেলেন।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, অগ্নিকাণ্ডে আব্দুল মোমিনের টিন শেডের পাকা বাড়ির চারটি ঘর ও তার বিভিন্ন আসবাবপত্র পুড়ে গেছে।

এদিকে, অগ্নিকাণ্ডের খবর জানার সাথে সাথে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স এবং পুলিশ সেখানে ছুটে গিয়ে আহতদের উদ্ধার করে প্রথমে জয়পুরহাট আধুনিক জেলা হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করে।

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও জয়পুরহাট-২ আসনের সংসদ সদস্য আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, জয়পুরহাটের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাকির হোসেন, পুলিশ সুপার মো. রাশেদুল হাসান, জয়পুরহাট পৌর মেয়র মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তাক প্রমুখ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।