ঝিলমিল প্রকল্পে ফ্ল্যাট কিনতে চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী

ঝিলমিল রেসিডেন্সিয়াল পার্ক প্রকল্পে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ফ্ল্যাট কেনার ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন বলে জানিয়েছেন গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন।

মন্ত্রী বলেন, ঝিলমিল প্রকল্পের রূপ এবং বিশেষত্ব নিয়ে যখন প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা হয় তখন তিনি (প্রধানমন্ত্রী) আনন্দিত হন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ওইদিক (কেরানিগঞ্জ) দিয়েই যেহেতেু গ্রামের বাড়ি গোপালগঞ্জে যাই, সেহেতু আমিও ঝিলমিল পার্কে একটি ফ্ল্যাট কিনতে চাই।’

প্রধানমন্ত্রী এমন অভিব্যাক্তি প্রকাশ করার পর নিজেও ঝিলমিল প্রকল্পে একটি ফ্ল্যাট কেনার ইচ্ছা পোষণ করেন বলে জানান গণপূর্তমন্ত্রী মোশাররফ হোসেন।

বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁওয়ে ডেভলপমেন্ট অব ঝিলমিল রেসিডেন্সিয়াল পার্ক প্রকল্পের চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন মন্ত্রী।

ঝিলমিল প্রকল্পের বাস্তবায়নকারী প্রতিষ্ঠান রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) এবং প্রাইভেট পার্টনার বিএনজি গ্লোবাল হোল্ডিং এসডিএনবিএউচডি অ্যান্ড কনসোর্টিয়ামের (মালয়েশিয়া) মধ্যে এ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।

প্রকল্পটি পাবলিক প্রাইভেট কর্তৃপক্ষ ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সার্বিক তত্ত্বাবধানে বাস্তবায়িত হবে।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন বলেন, ঝিলিমিল প্রকল্পের মাধ্যমে আমরা এদেশে সর্বপ্রথম আইবিএস (ইন্ডাস্ট্রিয়ালাইজড বিল্ডিং সিস্টেম) চালু করতে যাচ্ছি। এই প্রকল্পের মধ্যে দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বপ্ন ‘সকলের জন্য আবাসন’ এক ধাপ এগিয়ে যাবে।

অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি বিদ্যুৎ, জ্বালানি এবং খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, ‘স্বপ্লমূল্যে এবং সহজ শর্তে এই প্রকল্পে ফ্ল্যাট কিনে অনেকেই লাভবান হবেন। সরকারের যে জ্বালানি নীতি তা এখানে বাস্তবায়িত হয়েছে। এ প্রকল্পে পাইপ লাইনে গ্যাস সরবরাহ করার ববস্থা রাখা হয়নি। নতুন করে আর কোনো বাসা বাড়িতে গ্যাস সংযোগ দেবে না সরকার।

এ পকল্পে সর্বমোট ৮৫টি ভবন নির্মিত হবে। এর মধ্যে ৬০টি ২০তলা বিশিষ্ট আর ২৫টি ২৫ তলা বিশিষ্ট হবে। এতে মোট ফ্ল্যাট থাকবে ১৩ হাজার ৯২০টি।

১৬০ একর জমির উপর প্রকল্পটির কাজ শুরু হবে ২০১৮ সালে আর ২০২২ সালের ডিসেম্বরে কাজ শেষ হবে।