ঝুঁকিতে দক্ষিণাঞ্চলের নৌরুট, ড্রেজিংয়ে দুর্নীতির অভিযোগ

রাজধানীর সাথে দক্ষিণাঞ্চলের যোগাযোগের নৌরুট ভয়াবহ ঝুঁকিতে পড়েছে। নাব্য সংকটের কারণে প্রায় ছয় মাস বন্ধ থাকার পর ঢাকা-বরিশাল নৌপথের মূল রুট, মিয়ার চর চালু হলেও সেখানে বড় লঞ্চ চালানো সম্ভব হচ্ছে না। লঞ্চ মালিক ও মাস্টারদের অভিযোগ, ড্রেজিং বিভাগের দুর্নীতিই এর মূল কারণ। এদিকে বিআইডব্লিউটিএ এবং প্রকল্প কর্মকর্তারা এ অবস্থার জন্য একে অপরকে দোষারোপ করছেন।

ঢাকা বরিশাল নৌপথ দিয়ে প্রতিদিন প্রায় ২০০ যাত্রীবাহী লঞ্চের পাশাপাশি কয়েক হাজার মালবাহী নৌযান যাওয়া আসা করে। নাব্য সংকটের কারণে প্রায় ১০ বছর আগে আলুবাজার নৌরুটটি বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর ঢাকা থেকে বরিশাল কিংবা মংলা সমুদ্রবন্দরে যাওয়ার জন্য মূল রুট হিসেবে ব্যবহার হয়ে আসছে মিয়ার চর নামক নৌরুটটি। তবে নিয়মিত ড্রেজিং না হওয়ায় গত বর্ষা মৌসুমের পর সেটিও বন্ধ হয়ে যায়। এখন ব্যবহার হচ্ছে কালিগঞ্জ রুট, যেটাতে সময় বেশি লাগায় জ্বালানি খরচও বেশি। বিআইডব্লিউটি বলছে, ছয় মাসের ড্রেজিংয়ের পর মিয়ার চর রুটটি এ মাস থেকে আবার চালু হয়েছে।

তবে লঞ্চ মালিক ও মাস্টারদের দাবি, ড্রেজিং ঠিকমতো না হওয়ায় তা এখনও চলাচলের অনুপযোগী। টাকা খরচ হলেও ড্রেজিংয়ের সুফল পাওয়া যায় নি বলে জানান তারা। ভবিষ্যতে এই চ্যানেলটি বন্ধ হয়ে যেতে পারে বলে শংকা প্রকাশ করেন তারা। কালিগঞ্জ বাজার হয়ে ঘুরে আসতে আপ-ডাউনে আড়াই ঘন্টা সময় ও এক হাজার লিটার জ্বালানি বেশি লাগে বলে জানান তারা। সরকার প্রচুর টাকা বরাদ্দ দিলেও দুর্নীতির কারণে সেই টাকা জলেই গেছে বলে অভিযোগ লঞ্চ মালিক ও মাস্টারদের।

বিআইডব্লিউটিএ থেকে মিয়ার চর রুটে দৈর্ঘ্যে সাড়ে ৪ কিলোমিটার, চওড়ায় ৭৬ মিটার ও গভীরতায় ৫ ফুট ড্রেজিংয়ের কথা বলা হলেও সরেজমিনে এমনটি হয়নি বলে দাবি মাস্টারদের।

অভিযোগের বিষয়ে বিআডব্লিউটিএ’র ড্রেজিং বিভাগের প্রধান প্রকৌশলী বলছেন, তিনি এ বিষয়ে দায়িত্বপ্রাপ্ত নন। এ অবস্থার জন্য একে অপরকে দোষারোপ করছেন বিআইডব্লিউটিএ এবং প্রকল্প কর্মকর্তারা।

তবে সমস্যা সমাধান না হলে প্রয়োজনে আবারো জরিপ করে মিয়ার চরে ড্রেজিং করার কথা বলছে বিআইডব্লিউটিএ।