টাকার অভাবে সৌদিতে মর্গে পড়ে আছে বাবুলের লাশ

জীবিকার তাড়নায় আট মাস আগে ৫ লাখ টাকার বিনিময়ে সৌদি আরব পাড়ি জমিয়েছিলেন রাজশাহীর বাঘা উপজেলার গোকুলপুর গ্রামের যুবক বাবুল ইসলাম। কিন্তু সেখানে পৌঁছে ভালো কোনো কাজ মেলাতে পারেননি তিনি। কারণ তার বৈধ ভিসা ছিল না।

একপর্যায়ে দুশ্চিন্তা করতে করতে অবশেষে হার্ট অ্যাটাকে গত পাঁচদিন আগে মারা গেছেন তিনি। বর্তমানে হতভাগ্য এই প্রবাসীর নিথর দেহ পড়ে আছে মর্গে। টাকার অভাবে বাবুলের লাশ দেশে আনতে পারছে না তার পরিবার।

বাবুল ইসলামের বড় ভাই আশাদুল ইসলাম জানান, গত আট মাস আগে উপজেলার কথিত আদম ব্যবসায়ী আমির উদ্দীন গাজীর মাধ্যমে পাঁচ লাখ টাকার বিনিময়ে আমার ছোট ভাইকে সৌদি আরব পাঠানো হয়। কথা ছিল সেখানে গিয়ে একটি কম্পানিতে কাজ দেয়া হবে। কিন্তু আট মাসেও আমার ভাইকে কোনো কাজ দিতে পারেনি। ফলে মানসিক চিন্তায় সে দিশেহারা হয়ে পড়ে এবং গত রোববার হার্ট অ্যাটাকে মারা যায় সে।

তিনি জানান, বর্তমানে তার লাশ সৌদি আরবের দাম্মাম শহরের খোরা হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে। ভাইয়ের লাশ দেশে আনার মতো টাকা নেই আমাদের। এখন কী করে লাশ দেশে নিয়ে আসব বুঝে উঠতে পারছি না।

পরিবারের পক্ষ থেকে ভাইয়ের লাশ দেশে আনার জন্য পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলমের কাছে তিনি সহযোগিতা কামনা করেছেন।

এদিকে আদম ব্যবসায়ী আমির গাজির নামে বাঘা থানায় অভিযোগ করার পর গা ঢাকা দিয়েছে সে।

তবে এ বিষয়ে তার মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, বাবুল ইসলামকে ঢাকায় এনাম ট্রাভেলসের মাধ্যমে সৌদি আরব পাঠানো হয়।

বাঘা থানার ওসি রেজাউল হাসান বলেন, বাবুল ইসলাম কার মাধ্যমে, কীভাবে বিদেশে গেল? সেটা পরে দেখা হবে। এই মুহূর্তে তার লাশ দেশে ফিরিয়ে আনা জরুরি।