টানা বৃষ্টিতে জলাবদ্ধ রাজধানী

নিম্নচাপের কারণে সৃষ্ট টানা বর্ষণে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে। ফলে ভোগান্তিতে পড়েছেন অফিসগামী মানুষ।

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকে শুরু হওয়া ঝিরি ঝিরি বৃষ্টি সময় বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে রুপ নেয় ভারী বর্ষণে।

গত ২৪ ঘণ্টায় রাজধানীতে ১৪৯ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।

গত একদিনের ভারী বৃষ্টিতে জলাবদ্ধ হয়ে পড়েছে রাজধানীর বিভিন্ন রাজপথসহ অলিগলি।

রাজধানীর মতিঝিল, শান্তিনগর, মালিবাগ, কারওয়ান বাজার, নিউমার্কেট, রাসেল স্কয়ার, সংসদ ভবন এলাকা, গ্রীন রোড; মিরপুর-১, মিরপুর-১০, ১০, কাজিপাড়া, শেওড়াপাড়া ও কালশির সাংবাদিক আবাসিক এলাকাসহ অনেক জায়গার মূল সড়ক ডুবে গেছে হাঁটু পানির নিচে। কোনো কোনো স্থানে কোমর পানিও জমে গেছে।

মূল সড়কের বাইরে গলিপথগুলোর অবস্থা আরও ভয়াবহ। নিষ্কাশন ব্যবস্থা ভালো না থাকায় হাটু পানি জমে গেছে।

হাঁটু সমান জলাবদ্ধতায় ভোগন্তিতে পড়েছেন অফিসগামী মানুষ। স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীরা যারা বের হয়েছিলেন, তারাও পড়েছেন ভোগান্তিতে।

এদিকে আজ সকাল ৯টায় আবহাওয়া অধিদফতরের দেয়া পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় অস্থায়ী দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারী ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারী ধরনের ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণ হতে পারে।

নিম্নচাপের কারণে সৃষ্ট বৃষ্টি শনিবার সারা দিন ও রাত পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে বলে বলা হয়েছে।

গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গ এবং তৎসংলগ্ন বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল ও উড়িষ্যা এলাকায় অবস্থানরত স্থল নিম্নচাপটি উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে শনিবার সকাল ৯ টায় পশ্চিমবঙ্গ-বাংলাদেশের পশ্চিমাঞ্চল এলাকায় অবস্থান করছিল। এটি আরও উত্তর/উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে ক্রমান্বয়ে দুর্বল হয়ে যেতে পারে।

এর প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর এলাকায় বায়ু চাপের তারতম্যের আধিক্য বিরাজ করছে এবং গভীর সঞ্চারণশীল মেঘমালা তৈরী অব্যহত রয়েছে।

চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দর সমূহকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।