টি-টোয়েন্টিতে মুশফিকের ১ হাজার রান

টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে ১ হাজার রান পূর্ণ করলেন মুশফিকুর রহিম। শুক্রবার শ্রীলংকার বিপক্ষে মাঠে নামার আগে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে মুশফিকের সংগ্রহ ছিল৬৬ ম্যাচে ৯৭৫ রান। এদিন লংকানদের বিপক্ষে ২৫ রান করার মধ্য দিয়ে হাজার রানের মাইলফলকে পৌঁছে যান জাতীয় দলের সাবেক এই অধিনায়ক।

শ্রীলংকার বিপেক্ষে চলমান এই ত্রিদেশীয় সিরিজের প্রথম সাক্ষাতের ম্যাচে ৭২ রানের লড়াকু এক ইনিংস খেলে দলকে জয় উপহার দেন মুশফিক। এরপর ভারতের বিপক্ষে ফের ৭২ রানের ইনিংস খেলে দলকে জয়ের ঠিক কাছাকাছি নিয়ে যান তিনি। কিন্তু যোগ্য সঙ্গীর অভাবে ভালো খেলেও দলকে শেষ পর্যন্ত জয়ের বন্দরে পৌঁছাতে পারেননি জাতীয় দলের এই নির্ভরযোগ্য ব্যাটসম্যান।

এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত বাংলাদেশ দলের সংগ্রহ ১৪ওভারের খেলা শেষে ৪ উইকেট হারিয়ে ১০৫রান।

লিটনের পর আউট হয়ে সাজঘরে ফিরলেন সাব্বির রহমান রুম্মন। ৩৩ রানে দুই উইকেট হারিয়ে চাপে পড়েছে বাংলাদেশ দল। এ অবস্থা থেকে উত্তরণের চেষ্টা করছেন তামিম ইকবাল ও মুশফিকুর রহিম।

স্কোর বোর্ডে ১১ রান যোগ করেই সাজঘরে ফেরেন লিটন কুমার দাস। তার বিদায়ের পর খেলায় ফিরতে না ফিরতেই ফের বিপদে পড়ে যান সাব্বির রহমান। সাব্বির স্টাম্পিং হওয়ার আগে ৮ বলে ১৩ রান করলেও রানের খাতা খোলার সুযোগ পাননি ৩ বল খেলা লিটন।

এর আগে বোলিংয়ে শুরুটা ভালো হলেও শেষটা ভালো হয়নি বাংলাদেশ দলের। ৪১ রানে শ্রীলংকার ৫ উইকেট তুলে নিয়ে স্বাগতিকদের বিপদে ফেলে দেন সাকিব-মোস্তাফিজ-মিরাজরা। কিন্তু এই ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে পারেননি টাইগাররা।ষষ্ঠ উইকেটে ১০.১ ওভারে ৯৭ রানের জুটি গড়ে দলকে বড় সংগ্রহের পথে নিয়ে যান দু্ই পেরেরা। কুশল এবং থিসেরা পেরেরার দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৫৯ রান তুলে নেয় শ্রীলংকা। বাংলাদেশ দলের হয়ে দুই উইকেট নেন মোস্তাফিজুর রহমান। একটি করে উইকেট নেন সাকিব, মিরাজ, সৌম্য ও রুবেল।

সময়ের ব্যবধানে উইকেট হারিয়ে কোণঠাসা হয়ে পড়া শ্রীলংকাকে খেলায় ফেরান কুশল পেরেরা ও থিসেরা পেরেরা। ষষ্ঠ উইকেটে ১০.১ ওভারে ৯৭ রানের জুটি গড়ে দলকে বড় সংগ্রহের পথে নিয়ে যান দু্ই পেরেরা। ৪০ বলে ৭ চার ও এক ছক্কায় ৬০ রান করা কুশল পেরেরাকে ফেরান অনিয়মিত মিডিয়াম পেস বোলার সৌম্য সরকার।

সৌম্যকে বাউন্ডারি হাঁকাতে গিয়ে মেহেদী হাসান মিরাজের ক্যাচে পরিণত হন কুশল। ইনিংস শেষ হওয়ার ১০ বল আগে মাঠ ছাড়েন লংকান এই ড্যাশিং ব্যাটসম্যান। এরপর ইনিংসের শেষ হওয়ার ৪ বল আগে ৩৭ বলে ৩ চার ও সমান ছক্কায় ৫৮ রান করা থিসেরাকে ফেরান রুবেল হোসেন। কুশল এবং থিসেরা পেরেরার দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৫৯ রান তুলে নেয় শ্রীলংকা। বাংলাদেশ দলের হয়ে দুই উইকেট নেন মোস্তাফিজুর রহমান। একটি করে উইকেট নেন সাকিব, মিরাজ, সৌম্য ও রুবেল।

শুক্রবার শ্রীলংকার কলম্বোর প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে ত্রিদেশীয় সিরিজের বাঁচা-মরার লড়াইয়ের ম্যাচে মুখোমুখি হয় শ্রীলংকা-বাংলাদেশ। এদিন টসে জিতে আগে বোলিং করার সিদ্ধান্ত নেন বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক সাকিব আল হাসান।

বাঁচা মরার লড়াইয়ের ম্যাচে শুরুতেই আউট লিটন কুমার দাস। শ্রীলংকার বিপক্ষে ১৬০ রানের টার্গেট তাড়া করতে নেমে শুরুতেই আউট হয়ে সাজঘরে ফিরেছেন বাংলাদেশ দলের এই ওপেনার। ১১ রানে প্রথম উইকেট হারিয়ে চাপের মধ্যে পড়ে যাওয়া দলকে উত্তরণের চেষ্টা করছেন তামিম ইকবাল ও সাব্বির রহমান রুম্মন।

ইনিংসের শুরুতে বোলিংয়ে এসে বাংলাদেশ দলকে ব্রেক থ্রু এনে দেন সাকিব আল হাসান। ইনজুরি কাটিয়ে দলে ফিরেই চমক দেখান বিশ্বসেরা এই অলরাউন্ডার। শুরুতে উইকেট তুলে নিয়ে টাইগার শিবিরে আত্মবিশ্বাস ফেরান সাকিব। ২.১ ওভারে ১৫ রানে ওপেনার গুনাথিলাকার উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় স্বাগতিকরা। সাকিবের দ্বিতীয় ওভারের প্রথম বলটি বাউন্ডারি হাঁকাতে গিয়ে সাব্বির রহমান রুম্মনের তালুবন্দি হন গুনাথিলাকা। সাজঘরে ফেরার আগে ৪ রান করেন লংকান এই ওপেনার।

১৪ বলে ১১ রান করা অন্য ওপেনার কুশল মেন্ডিসকে ক্যাচ তুলে দিতে বাধ্য করেন মোস্তাফিজ। উপল থারাঙ্গাকে রানআউটে ফেলেন কাটার মাস্টার। এরপর দাসুন শানাকে সাজঘরে পাঠান মোস্তাফিজ। লংকান শিবিরে এরপর আঘাত হানেন অফ স্পিনার মেহেদী হাসান মিরাজ। তার বলে মোস্তাফিজের হাতে ক্যাচ তুলে দিয়ে বিদায় নেন জীবন মেন্ডিস।

৪১ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়া দলকে টেনে তুলেন কুশল পেরেরা ও থিসেরা পেরেরা। ষষ্ঠ উইকেটে তারা ৯৭ রানের জুটি গড়ে দলকে বড় সংগ্রহের পথে নিয়ে যান।

শ্রীলংকা: ২০ ওভারে ১৫৯/৭ রান (কুশল ৬১, থিসেরা ৫৮; মোস্তাফিজ ২/৩৯)।

টস: বাংলাদেশ