টুইটার প্রোফাইল থেকে বাংলাদেশ অধ্যায় মুছে দিলেন হাথুরু

তাঁর বাংলাদেশ অধ্যায় শেষই বলতে হবে। পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে বিসিবিও তাঁর আশা ছেড়েই দিয়েছে। বাংলাদেশে আর আসছেন না চন্ডিকা হাথুরুসিংহে। হাথুরুর সম্পতিক পদক্ষেপ সেটাই পরিষ্কার করে দিয়েছে। তাঁর ব্যক্তিগত টুইটার অ্যাকাউন্ট থেকে বাংলাদেশ অধ্যায়টাই মুছে ফেলেছেন এই শ্রীলঙ্কান কোচ। তিনি আসছেন না এই পদক্ষেপ এটাই শুধু নির্দেশ করে না, তার ওয়াল থেকে বাংলাদেশ অধ্যায় মুছে দেওয়াটা প্রচণ্ড ক্ষোভেরও বহিঃপ্রকাশ।

দক্ষিণ আফিকার বিপক্ষে টেস্ট সিরিজের পর হুট করে পদত্যাগ করেন হাথুরু। তাকে বুঝিয়ে সিদ্ধান্ত পাল্টাতে দক্ষিণ আফ্রিকায় উড়ে গিয়েছিলেন খালেদ মাহমুদ সুজন। কিন্তু তাতেও কাজ হয়নি। গত ৩১ অক্টোবর বাংলাদেশ দল ঢাকায় ফিরলেও তিনি চলে যান অস্ট্রেলিয়াতে, যেখানে তার পরিবার বসবাস করছে।

এরপর বিসিবি তার সঙ্গে যোগাযোগ করলেও তাতে প্রথমদিকে সাড়া দেননি কোচ। তবে, গত কয়েকদিন আগে বিসিবির যোগাযোগে সাড়া দিয়েছেন তিনি। কোচ থাকেন বা না থাকেন একবার ঢাকায় আসার প্রতিশ্রুতি দেন বিসিবিকে। ঢাকায় আসলে আরেকবার তাকে রাজি করানোর চেষ্টা করা হবে বলে মনে করা হচ্ছিলো। কিন্তু হাথুরুর সর্বশেষ পদক্ষেপে সেই সম্ভাবনাও একরকম শেষ হয়ে গেল।

টুইটার প্রোফাইল থেকে বাংলাদেশ অধ্যায় মুছে ফেলার অর্থ পরিষ্কার। তিনি আর বাংলাদেশে আসছেন না। তিনি যে প্রায় তিন বছর বাংলাদেশ দলের কোচ ছিলেন সেটাও অস্বীকার করেছেন এর মাধ্যমে। ক’দিন আগেও তার প্রোফাইলে লেখা ছিল, চন্ডিকা হাথরুসিংহে, হেড কোচ বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দল এবং সাবেক শ্রীলঙ্কান টেস্ট ও ওয়ানডে খেলোয়াড়। এখন বাংলাদেশ অধ্যায় মুছে তার নামের পর লেখা হয়েছে, পেশাদার ক্রিকেট কোচ ও সাবেক শ্রীলঙ্কান টেস্ট ও ওয়ানডে খেলোয়াড়।

তাঁর কোচিং ক্যারিয়ারে বাংলাদেশই প্রথম ও একমাত্র জাতীয় দল। এখানে তিনি ছিলেন বিশ্বের চতুর্থ সর্বোচ্চ বেতনভুক্ত কোচ। তার অধীনে বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনাল ও চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির সেমিফাইনাল খেলে একটি দল। অথচ এমন গৌরবোজ্জ্বল অধ্যায়কে মুছে দিয়েছেন তার প্রোফাইল থেকে। এটা যে তিনি প্রচণ্ড ক্ষোভ থেকে করেছেন সেটা বলার অপেক্ষা রাখে না।