টুইন টাওয়ারে বেঁচে গেলেও কেনিয়ার জঙ্গি হামলায় মৃত্যু

কেনিয়ার রাজধানী নাইরোবিতে একটি বিলাসবহুল হোটেলে হামলার ঘটনায় ২১ জন নিহত হয়েছে। নিহতদের মধ্যে একজন মার্কিন নাগরিক। ২০০১ সালের সেপ্টেম্বরে টুইট টাওয়ারে জঙ্গি হামলার সময় ভাগ্যক্রমে বেঁচে গিয়েছিলেন এই ব্যবসায়ী। কিন্তু এবার আর শেষ রক্ষা হলো না। নাইরোবির হামলায় প্রাণ হারাতে হলো তাকে।

৯/১১ হামলায় বেঁচে যাওয়া এই মার্কিনি একজন পরামর্শদাতা এবং উদীয়মান অর্থনীতির বিশেষজ্ঞ হিসেবে কাজ করছিলেন।

কেনিয়ার হামলায় নিহত হিসেবে আনুষ্ঠানিকভাবে জেসন স্পিন্ডলারের নাম ঘোষণা করেনি কর্তৃপক্ষ। তবে তার মা সারাহ এবং ভাই জোনাথন সামাজিক মাধ্যম ফেসবুকে তার মৃত্যুর বিষয়টি উল্লেখ করেছে। মার্কিন বেশ কয়েকটি গণমাধ্যমের খবরেও তার মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করা হয়েছে।

ফেসবুকে এক পোস্টে জোনাথন লিখেছেন, নাইরোবিতে একটি সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় আমার ভাই জেসন স্পিন্ডলার মারা গেছেন। তিনি আরও লিখেছেন, জেসন ৯/১১ হামলায় বেঁচে গিয়েছিলেন। তিনি ছিলেন একজন যোদ্ধা।

নাইরোবিতে ওই হামলার দায় স্বীকার করে নিয়েছে আল কায়েদার শাখা সংগঠন সোমালিয়ার আল শাবাব জঙ্গি গোষ্ঠী। সোমালিয়ায় জিহাদি গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে লড়াই করতে ২০১১ সালের অক্টোবরে সেনা মোতায়েন করেছিল কেনিয়া। তারপর থেকেই কেনিয়ায় একের পর এক হামলা চালাচ্ছে জঙ্গিরা।

জেসন অস্টিনের টেক্সাস ইউনিভার্সিটি এবং নিউ ইয়র্ক ইউনিভার্সিটি ল’ স্কুল থেকে স্নাতক অর্জন করেন। তিনি পেরুর পিস কর্পসে সময় দিয়েছেন।

২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বর ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারে সলোমন স্মিথ বার্নি বিনিয়োগ ব্যাংকে কর্মরত ছিলেন জেসন। আল কায়েদার নেতৃত্বে দু’টি যাত্রীবাহী বিমান দিয়ে টুইন টাওয়ারের প্রধান ভবনে আঘাত হানা হয়। সে সময় ধ্বংসস্তুপের নিচে আটকা পড়া লোকজনকে সাহায্য করেছিলেন জেসন।