টেকনাফে দেশের সবচেয়ে বড় সৌরপ্রকল্প চালু

জুলস পাওয়ার লিমিটেডের সাবসিডিয়ারি ‘টেকনাফ সোলারটেক এনার্জি লিমিটেড’ ১১৬ একর জায়গার ওপর সোলার পার্কটি গড়ে তুলেছে৷ সেখানে থেকে উৎপাদিত ২০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ করা হচ্ছে৷

টেকনাফের মোট বিদ্যুৎ চাহিদার প্রায় ৮০ শতাংশের জোগান দেয়ার ক্ষমতা এই সোলার পার্কের আছে বলে জানিয়েছেন কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক নুহের লতিফ খান৷

এর আগে যে সোলার প্রকল্পটি সবচেয়ে বড় ছিল, সেখান থেকে মাত্র ৩ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হতো৷

নবায়নযোগ্য জ্বালানি উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ শ্রেডা’র পরিচালক শেখ রিয়াজ আহমেদ জানিয়েছেন, বর্তমানে নবায়নযোগ্য জ্বালানি থেকে ৫৩০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছে৷ এর মধ্যে প্রায় অর্ধেকই হচ্ছে জলবিদ্যুৎ থেকে৷

শুধু আগামী বছরেই নবায়নযোগ্য জ্বালানি থেকে ৬০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে সক্ষম, এমন প্রকল্প বাস্তবায়িত হচ্ছে৷

এছাড়া পরের দুই বছর, অর্থাৎ ২০২০ ও ২০২১ সালে আরো ১,১০০ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন বিদ্যুৎ উৎপাদন প্রকল্পের কাজও চলছে বলে জানান শেখ রিয়াজ আহমেদ৷

অবশ্য এসব প্রকল্পের কয়েকটি জমি অধিগ্রহণসহ অন্যান্য সমস্যার মধ্যে আছে বলেও স্বীকার করেন শ্রেডার ঐ কর্মকর্তা৷

তবে পরিকল্পনা বাস্তবায়ন সম্ভব হলে ২০২১ সালে নবায়নযোগ্য জ্বালানি থেকে ২,২৩৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ পাওয়া যাবে বলে জানান তিনি৷

২০০৮ সালের নবায়নযোগ্য জ্বালানি নীতিতে ২০২০ সালের মধ্যে দেশের মোট উৎপাদিত বিদ্যুতের দশ শতাংশ নবায়নযোগ্য জ্বালানি থেকে উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারিত করা হয়েছিল৷ ২০২০ সালের মধ্যে বাংলাদেশ ২০ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের ক্ষমতাসম্পন্ন হবে বলে আশা করা হচ্ছে৷

লক্ষ্যমাত্রা পূরণে সরকারের পক্ষ থেকে নেয়া নানান উদ্যোগের মধ্যে একটি হচ্ছে, শিল্প কারখানা ও বাণিজ্যিক ভবনের ছাদে সৌর প্রকল্প বাস্তবায়নে সহায়তা করা৷

বড় আকারের সৌর প্রকল্প ছাড়াও বাংলাদেশের ঘরবাড়িতে ছোট আকারের ‘সোলার হোম সিস্টেম’ ব্যবহার জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে৷

বাংলাদেশ সোলার অ্যান্ড রিনিউয়েবল এনার্জি অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট দীপাল সি. বড়ুয়া থমসন রয়টার্স ফাউন্ডেশনকে জানিয়েছেন, বর্তমানে প্রায় ৫২ লক্ষ বাড়িতে সোলার হোম সিস্টেম ব্যবহৃত হচ্ছে৷ এর মাধ্যমে দেশের প্রায় ১২ শতাংশ মানুষ বিদ্যুৎ পাচ্ছে বলে জানান তিনি৷