ট্রাম্পের ঘোষণা প্রত্যাখ্যান জাতিসংঘ-ইউরোপীয় ইউনিয়নের

জেরুজালেমকে ইসরায়েলের রাজধানী হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এছাড়া মার্কিন দূতাবাস তেল আবিব থেকে জেরুজালেমে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে বলেও ঘোষণা দিয়েছেন তিনি।

ট্রাম্পের এমন ঘোষণার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন ক্যাথলিক খ্রিস্টানদের ধর্মগুরু পোপ ফ্রান্সিস, জাতিসংঘ এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন। রয়টার্সের এক খবরে জানানো হয়েছে, আরব দেশ, ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং জাতিসংঘের তরফ থেকে তার ঘোষণা প্রত্যাখ্যান করা হয়েছে।

এক বিবৃতিতে পোপ ফ্রান্সিস বলেন, আমি চুপ করে থাকতে পারি না। জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তনিও গুতেরেস এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের তরফ থেকে এই ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের মিত্র দেশ ব্রিটেন, ফ্রান্স, জার্মানি এবং ইতালি ট্রাম্পের এমন সিদ্ধান্তকে ভুল বলে আখ্যা দিয়েছে।

ট্রাম্প প্রশাসনের এমন সিদ্ধান্তে বিশ্ব নেতারা নিন্দা ও সমালোচনা করেছেন। ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, এমন সিদ্ধান্ত শান্তি প্রক্রিয়ার জন্য ক্ষেত্রে বিপজ্জনক হবে। এছাড়া শান্তি, নিরাপত্তা, আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা এবং বিশ্বের জন্যও তা হুমকির কারণ হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তনিও গুতেরেস এবং পোপ ফ্রান্সিস সতর্ক করে বলেছেন, এই ঘোষণার কারণে পবিত্র শহরটিতে চলমান অস্থিরতার মধ্যে উত্তেজনা আরো বাড়িয়ে দিতে পারে।

এদিকে, ফিলিস্তিন বলেছে শান্তি আলোচনার মধ্যস্থতাকারী হিসেবে ওয়াশিংটন তার ভূমিকার অপব্যহার করেছে এই পদক্ষেপের মাধ্যমে।

যুক্তরাষ্ট্রের দূতবাস জেরুজালেমে সরিয়ে নেওয়ার বিষয়ে ট্রাম্পের সিদ্ধান্ত এবং এর প্রতিক্রিয়ায় ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের মধ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠার পদক্ষেপ ঝুঁকির মুখে ফেলবে বলে সতর্ক করেছে জাতিসংঘ এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন।

গত কয়েক দশক ধরে জেরুজালেম ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক নীতির বিপরীত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করায় ট্রাম্পের বিরোধীতা করেছে যুক্তরাষ্ট্রের প্রধান মিত্র দেশগুলো।

ট্রাম্পের এক তরফা এই সিদ্ধান্তকে প্রত্যাখ্যান করেছে ফ্রান্স। একই সঙ্গে ওই অঞ্চলে শান্তি বজায় রাখার আহ্বান জানানো হয়েছে।

এদিকে ব্রিটেন বলছে, এমন সিদ্ধান্ত শান্তি প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে কোনো ভূমিকা রাখবে না এবং জেরুজালেমে ইসরায়েল ও ভবিষ্যৎ ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের অংশীদারিত্ব থাকা উচিত। অপরদিকে জার্মানি বলছে, শুধুমাত্র দ্বি-রাষ্ট্রীয় সমাধানের ভিত্তিতেই জেরুজালেম সমস্যার সমাধান হওয়া সম্ভব।