চলন্ত ট্রেনের টয়লেটে কিশোরীকে ধর্ষণের চেষ্টা, যুবক আটক

বলাই বাহুল্য ইদানিং ধর্ষণের ঘটনা অনেক বেড়েছে। এবার ঢাকা-রাজশাহী আন্তঃনগর সিল্কসিটি এক্সপ্রেসের টয়লেটে এক কিশোরী যাত্রীকে ধর্ষণের চেষ্টা করা হয়েছে। এ ঘটনায় ওই বখাটেকে অন্যান্য যাত্রীরা আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছে।

বৃহস্পতিবার রাতে ট্রেনের ‘ঝ’ বগির টয়লেটে এ ঘটনা ঘটে। আটক যুবক মমিনুল ইসলাম (২৭) বর্তমানে ঈশ্বরদী রেল থানায় (জিআরপি) রয়েছে।

রেলওয়ে সূত্র জানায়, ট্রেনটি রাত পৌনে ১১টার দিকে রাজশাহী রেলওয়ে স্টেশনে পৌঁছায়। পরে অভিযুক্ত যুবককে আটক করে জিআরপি থানায় নেয়া হয়। সেখানে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। এ সময় ঘটনার প্রাথমিক সত্যতা পেয়েছে পুলিশ। আটক যুবকের নাম মমিনুল ইসলাম (২৭)। তার বাড়ি চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার থানাতলা এলাকায়। মমিনুল পেশায় রাজমিস্ত্রি।

রাজশাহী জিআরপি থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাঈদ ইকবাল জানান, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সিরাজগঞ্জের শহীদ ক্যাপ্টেন মনসুর আলী রেলওয়ে স্টেশন থেকে রাজশাহীর উদ্দেশে নানী ও খালার সঙ্গে ট্রেনে ওঠে ওই কিশোরী। ট্রেনটি ঈশ্বরদী বাইপাস পৌঁছালে ওই কিশোরী টয়লেটে যায়৷ এ সময় জোর করে ওই টয়লেটের মধ্যে ঢুকে পড়ে অভিযুক্ত যুবক মমিনুল।

এক পর্যায়ে তার মুখ চেপে ধরে এবং ধর্ষণের চেষ্টা চালায়। তবে কিশোরীর চিৎকারে টয়লেটের দরজার সামনে ভিড় করেন ট্রেন যাত্রীরা। প্রায় এক ঘণ্টা চেষ্টার পর দরজা খুলে মমিনুল। এ সময় তাকে গণপিটুনি দেয়া হয়।

পরে ট্রেনে কর্তব্যরত পুলিশ উপ-পরিদর্শক (এসআই) উজ্জ্বল গিয়ে ট্রেন যাত্রীদের হাত থেকে তাকে আটক করেন। এরপর ট্রেনটি রাজশাহী পৌঁছালে তাকে জিআরপি থানায় নিয়ে যাওয়া হয়।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, আটক যুবক মমিনুল পেশায় একজন রাজমিস্ত্রি। তার কথাবার্তাও অসংলগ্ন। যেহেতু ঘটনাটি ঈশ্বরদী জিআরপি থানার অধীনে ঘটেছে তাই তার বিরুদ্ধে ওই থানাতেই মামলা করা হয়েছে। এ কারণে রাতের ফিরতি ট্রেনে আসামিকে ঈশ্বরদী থানায় পাঠানো হয়েছে।