ডিআইজি মিজানের বিরুদ্ধে মামলার অনুমোদন

সম্পদের তথ্য গোপন ও অবৈধ পন্থায় টাকা উর্পাজনের অভিযোগে ডিআইজি মিজানের বিরুদ্ধে মামলার অনুমোদন দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। সোমবার দুদকের একটি নির্ভরশীল সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

মিজানের নামে পাওয়া সম্পদের মধ্যে রয়েছে- রাজধানীর ‘বেইলি রিজ’ নামে ভবনের চতুর্থ তলায় ৫৫ লাখ টাকা মূল্যের একটি ফ্ল্যাট, একই ভবনের নিচে কার পার্কিংয়ের স্পেসসহ ৫৫ দশমিক ৫১ অযুতাংশ জমি, কাকরাইলে দুই কোটি ২০ লাখ টাকা মূল্যের একটি বাণিজ্যিক ফ্ল্যাট।

এছাড়া তিন কোটি ৪৩ লাখ ৭৪ হাজার ৪৬০ টাকা মূল্যের জমি ও দোকানের সন্ধান পেয়েছে দুদক। সিটি ব্যাংক ধানমণ্ডি শাখায় মিজানের অ্যাকাউন্টে ১০ লাখ টাকাসহ বেশকিছু সম্পদ থাকার তথ্য রয়েছে প্রতিবেদনে।

প্রসঙ্গত, মরিয়ম আক্তার ইকো নামে এক তরুণীকে তুলে নিয়ে জোরপূর্বক বিয়ে করার অভিযোগ রয়েছে ডিআইজি মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধে। ঘটনার সময় তিনি ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার হিসেবে দায়িত্বরত ছিলেন। বিষয়টি ফাঁস করে দেওয়ায় ওই তরুণীকে মামলা দিয়ে ২০১৭ সালের ডিসেম্বরে গ্রেফতার করান তিনি।

এ ছাড়া এক সংবাদ পাঠিকাকে নির্যাতনের অভিযোগ ওঠে তার বিরুদ্ধে। তোলপাড় শুরু হলে দুটি তদন্ত কমিটি করে পুলিশ সদর দপ্তর। দুটি কমিটিই ডিআইজি মিজানের কর্মকাণ্ডকে ‘অসদাচরণ ও নৈতিক স্খলন’ হিসেবে উল্লেখ করে তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থার সুপারিশ করে। গত বছরের শুরুতে দাখিল করা তদন্ত প্রতিবেদনে পুলিশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার অভিযোগও আনা হয় তার বিরুদ্ধে।

এদিকে গত বছরই মিজানের অবৈধ সম্পদের অনুসন্ধানে নামে দুদক। গত ৮ জুন গণমাধ্যমে অডিও প্রকাশ করে মিজান দাবি করেন, তার কাছ থেকে ৪০ লাখ টাকা ঘুষ নিয়েছেন দুদক কর্মকর্তা এনামুল বাছির।