ডিবি কার্যালয়ে নাঈমকে রাতভর জিজ্ঞাসাবাদ

রাজধানীর বনানীতে একটি আবাসিক হোটেলে দুই তরুণী ধর্ষণের মামলার দুই নম্বর আসামি নাঈম আশরাফকে (মো. আব্দুল হালিম) রাজধানীর মিন্টো রোডের মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) কার্যালয়ে রাখা হয়েছে। বুধবার রাতভর তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন তদন্ত সংশ্লিষ্ট পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক (ডিবি) কার্যালয়ের এক কর্মকর্তা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

বুধবার রাত পৌনে ৯টায় নাঈমকে মুন্সিগঞ্জের লৌহজং থেকে গ্রেফতারের পরপরই ডিবি কার্যালয়ে আনা হয়। সেখানে তাকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ করেন পুলিশের তদন্ত সহায়ক কমিটির সদস্যরা। সহায়ক কমিটির প্রধান ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) যুগ্ম কমিশনার (ক্রাইম) কৃষ্ণ পদ রায়। সদস্যরা হচ্ছেন ডিবি উত্তরের উপ-কমিশনার (ডিসি) শেখ নাজমুল আলম, গুলশান বিভাগের ডিসি মোস্তাক আহমেদ এবং ওমেন সাপোর্ট অ্যান্ড ইনভেস্টিগেশন সেন্টারের ডিসি ফরিদা ইয়াসমিন।

রাতে কিছুক্ষণ জিজ্ঞাসাবাদের পর সকালে আবারো জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে তাকে। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে ওমেন্স সাপোর্ট অ্যান্ড ইনভেস্টিগেশনের ইন্সপেক্টর ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ইসমত আরা এমির কাছে হস্তান্তর করা হবে। দুপুরের আগে তাকে আদালতে পাঠিয়ে রিমান্ড আবেদন করতে পারেন তিনি।

এর আগে, গত ২৮ মার্চ রাজধানীর বনানীর ‘দ্য রেইন ট্রি’ হোটেলে সাফাত আহমেদ নামে এক বন্ধুর জন্মদিনে যোগ দিতে গিয়ে বন্ধুদের সহায়তায় ধর্ষণের শিকার হন ওই দুই তরুণী। ওই ঘটনার ৪০ দিন পর ৬ মে সন্ধ্যায় বনানী থানায় পাঁচজনকে আসামি করে মামলা করেন তারা। মামলার এজাহারভুক্ত পাঁচ আসামি হলেন- সাফাত আহমেদ, তার বন্ধু সাদমান সাকিফ ও নাঈম আশরাফ, সাফাতের গাড়িচালক বিল্লাল ও তার দেহরক্ষী আবুল কালাম আজাদ (রহমত আলী)।

আসামিদের মধ্যে সাফাত ও সাদমান গ্রেফতার হয়ে যথাক্রমে ৬ ও ৫ দিনের রিমান্ডে রয়েছেন। গাড়িচালক বিল্লাল ও রহমত আলীকেও রাজধানীর থেকে গ্রেফতার করে রিমান্ডে নেয়া হয়েছে।