ডিভোর্সের সালিশে আসলেন অপু, অনুপস্থিত শাকিব

কথা ছিল সোমবার সকাল ১০টায় আসবেন অপু বিশ্বাস ও শাকিব খান। কিন্তু ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের সালিশ বৈঠকে আসলেন শুধু নায়িকা, ছিলেন না নায়ক। সিটি কর্পোরেশনের অঞ্চল ৩-এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. হেমায়েত হোসেনের সাথে তালাক নোটিশের বিপরীতে সমঝোতা বৈঠকে বসেন অপু।

সেখানে তিনি বলেন, ‘আমার একটা সন্তান রয়েছে, আমি এখন বিচ্ছেদ চাই না। তাছাড়া শাকিব যে অভিযোগগুলো করেছে এগুলো ঠিক না। ওকে আমি পাচ্ছি না। ভেবেছিলাম আজ পাবো, পেলাম না। ওর সাথে সামনাসামনি কথা বললে সব ঠিক হয়ে যেতো। এছাড়া এখানে যে স্বাক্ষর তা তো তার না। ওর জন্য আমি ধর্ম ত্যাগ করেছি। ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে। তাকে অন্যরা ভুল বুঝিয়েছে।’

এদিকে শাকিব না আসায় ১২ ফেব্রুয়ারি আবার বৈঠক ডেকেছে সিটি কর্পোরেশন।

অবশ্য শাকিব খানের আইনজীবী অ্যাডভোকেট সিরাজুল ইসলাম বলছেন, ‘শাকিব সালিশে আসার প্রয়োজনবোধ করছেন না। আমাদের আগের সিদ্ধান্তই বহাল থাকবে। কোন পরিবর্তনের সম্ভাবনা নেই।’

এদিকে সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. হেমায়েত হোসেন বলেন, ‘আমরা তাদের জোর করতে পারি না। ৯০ দিনের মধ্যে সমঝোতা না হলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ডিভোর্স হয়ে যাবে।’

গত ২৮ নভেম্বর আইনজীবীর মাধ্যমে ডিভোর্সের নোটিশ পাঠান শাকিব খান। সেখানে নায়ক ডিভোর্সের দুটি কারণ দেখিয়েছেন।

এর একটি হলো— অপু বিশ্বাস কথিত বয়ফ্রেন্ডের সঙ্গে ভারতে বেড়াতে গেছেন। এই সময়ে ছেলে জয়কে বাসার কাজের লোকের কাছে রেখে গেছেন।

বছরখানেক অন্তরালে থাকার পর ১০ এপ্রিল একটি বেসরকারি টিভি চ্যানেলে এসে বিয়ে ও সন্তানের খবর জানান অপু বিশ্বাস।

তিনি জানান, ২০০৮ সালের ১৮ এপ্রিল শাকিবের সঙ্গে বিয়ে হয়। কলকাতার একটি ক্লিনিকে ২০১৬ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর জন্ম হয় ছেলে আব্রাহাম খান জয়ের।

এ খবর প্রকাশের পর থেকেই শাকিবের সঙ্গে অপুর মান-অভিমান চলছিল। তাদের মধ্যে দূরত্ব তৈরি হয়। বর্তমানে ছেলেকে নিয়ে রাজধানীর নিকেতনে একাই থাকছেন অপু।

অপু ২০০৪ সালে আমজাদ হোসেনের ‘কাল সকালে’ ছবির মাধ্যমে চলচ্চিত্রে পা রাখেন। এরপর ২০০৬ সালে পরিচালক এফ আই মানিক পরিচালিত ‘কোটি টাকার কাবিন’ ছবিতে নায়িকা হিসেবে শাকিবের বিপরীতে অভিনয় করেন তিনি। ২০০৬ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত এই জুটি ৭০টির মতো জনপ্রিয় ছবিতে অভিনয় করেন।