ডেটিং সার্ভিস চালু করতে যাচ্ছে ফেসবুক

ফেসবুকের প্রধান নির্বাহী মার্ক জাকারবার্গ আগেই ঘোষণা দিয়েছিলেন, ২০১৮ সাল হতে যাচ্ছে তাদের জন্য একটি বিশেষ বছর।

সেই বছরে ব্যবহারকারীদের জন্য যেসব নতুন সেবা তারা চালু করতে যাচ্ছেন, এর মধ্যে রয়েছে সঙ্গী খোঁজার একটি ডেটিং সার্ভিসও।
ক্যালিফোর্নিয়ায় প্রতিষ্ঠানটির বার্ষিক এফএইট ডেভেলপার কনফারেন্সে এই নতুন সেবাটি চালুর ঘোষণা দিয়েছেন জাকারবার্গ। -খবর বিবিসি অনলাইনের।

তিনি বলেন, এই যুগল মেলানোর সেবা নিতে হলে ব্যক্তিগত অনেক কিছু শেয়ার করতে হবে এবং খুব তাড়াতাড়িই সেটি চালু হবে। সেখানে ব্যবহারকারীরা একে অন্যকে বার্তা পাঠাতে পারবেন।

তিনি বলেন, ফেসবুকে ২০ কোটি ব্যবহারকারী রয়েছেন, যারা নিজেদের সিঙ্গেল বা সঙ্গী ছাড়া বলে উল্লেখ করেছেন। এখন আমরা যদি তাদের জন্য একটি সার্থক সম্পর্ক তৈরি করে দিতে পারি, তা সবার জন্যই অর্থপূর্ণ হবে।

তার এ ঘোষণার পর ডেটিং ব্যবসায়ের প্রতিষ্ঠান ম্যাচ গ্রুপের শেয়ারের দাম ২২ শতাংশ পড়ে গেছে। জনপ্রিয় ডেটিংঅ্যাপ টিন্ডারের মালিক এ প্রতিষ্ঠানটি যারা মূলত ফেসবুক প্রোফাইল থেকে তথ্য সংগ্রহ করে।

জাকারবার্গ বলছেন, তাদের মূল উদ্দেশ্য- ফেসবুক সদস্যদের মধ্যে স্থায়ী সম্পর্ক তৈরি করা। নতুন এই ফিচারে বর্তমান বন্ধু তালিকায় থাকা ব্যক্তিদের বাইরে রাখা হবে।

ব্যক্তিগত তথ্যের অপব্যবহার নিয়ে সমালোচনার মুখে রয়েছে ফেসবুক।

মার্ক জাকারবার্গ ঘোষণা দিয়েছেন, এ রকম আর ঘটবে না। সেটি ঠেকাতে বেশ কয়েকটি পদক্ষেপের কথাও তিনি জানিয়েছেন।

যুক্তরাষ্ট্রের অনেক গ্রাহক জানিয়েছেন, নতুন পোস্ট দেয়ার পর তারা একটি নতুন বার্তা দেখতে পাচ্ছেন, যেখানে জানতে চাওয়া হচ্ছে যে, এটি ঘৃণা বা বিদ্বেষ ছড়ানো মূলক কোনো বক্তব্য কিনা।

এর মধ্যে রয়েছে

এখন থেকে ফেসবুক ব্যবহারকারীরা জানতে পারবেন, তৃতীয় পক্ষের কোনো ওয়েবসাইট এবং অ্যাপ তাদের প্রোফাইল থেকে তথ্য সংগ্রহ করছে কিনা। নিজেদের সম্পর্কে তথ্য মুছে দেয়া যাবে।

নিজেদের প্রোফাইলে ব্যক্তিগত বিস্তারিত দেয়া থেকে ভবিষ্যতে বিরত করবে ফেসবুক। ফেসবুকের জন্য নতুন কয়েকটি ফিচারও তিনি ঘোষণা দিয়েছেন।

এর মধ্যে রয়েছে ইনস্টাগ্রামে ভিডিও চ্যাট আর অগমেন্টেড রিয়েলিটি ফিল্টার যোগ হচ্ছে। হোয়াটসঅ্যাপেও গ্রুপ ভিডিও চ্যাট পদ্ধতি আসবে।

যুক্তরাষ্ট্রের অনেক গ্রাহক জানিয়েছেন, নতুন পোস্ট দেয়ার পর তারা একটি নতুন বার্তা দেখতে পাচ্ছেন, যেখানে জানতে চাওয়া হচ্ছে যে, এটি ঘৃণা বা বিদ্বেষ ছড়ানোমূলক কোনো বক্তব্য কিনা। এমনকি জাকারবার্গের বক্তব্যের নিচেও সেটি লেখা রয়েছে।

তবে ফেসবুক এখনও এ বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানায়নি।