‘ড. কামাল বঙ্গবন্ধু হত্যায় জড়িত ছিলেন না, কীভাবে বলা যায়’

বঙ্গবন্ধু হত্যার পর ড. কামাল জার্মিনীতে ছিলেন। লন্ডনে শেখ হাসিনা ও শেখ রেহেনা তার সঙ্গে যোগাযোগ করেন প্রেস কনফারেন্স করে নিন্দা করার জন্য বলেছিলেন। উনি প্রেস কনফারেন্স করেন নাই। আমার কাছে ছবি আছে, বঙ্গবন্ধুর হত্যার পর কামাল হোসেন আর কর্নেল হুদা এক অনুষ্ঠানে বসে সামনাসামনি বসে পানীয় জাতীয় কী যেন খাচ্ছিলেন। উনি (ড. কামাল) যে, বঙ্গবন্ধুর হত্যার সঙ্গে জড়িত ছিলেন না, কীভাবে বলা যায়?

রোববার (১০ মার্চ) জাতীয় সংসদে রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর আনীত ধন্যবাদ প্রস্তাবে আলোচনায় অংশ নিয়ে সরকারি দলের সিনিয়র সদস্য শেখ সেলিম এসব কথা বলেন।

শেখ সেলিম বলেন, খুনি মোস্তাক আর জিয়া বঙ্গবন্ধুকে স্বপরিবারে হত্যা করে আমাদের স্বাধীনতাকে হত্যা করেছে, মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে হত্যা করেছে, আমাদের সমস্ত কিছুকে হত্যা করা হয়েছে। তিনি (জিয়া) স্বাধীনতা বিরোধীদের সামাজিক, রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিকভাবে প্রতিষ্ঠা করেছেন। জিয়া পাকিস্তানি আনুগত্যে একটি রাষ্ট্র বানাতে চেয়েছিলেন। মুক্তিযোদ্ধা স্বাধীনতার স্বপক্ষের শক্তি নিশ্চিহ্ন করার জন্য তিনি একটার পর একটা হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছেন।

ড. কামালের সমালোচনা করে শেখ সেলিম বলেন, খালেদা জিয়া এতিমের টাকা চুরি করে জেলে গেছেন, তার জন্য তিনি (ড. কামাল) কান্না শুরু করছেন। তার (খালেদা জিয়া) মুক্তি দিতে হবে। একজন আইনজীবী হয়ে উচ্চ আদালতের শাস্তি পাওয়া আসামির মুক্তি চান, চোরকে মুক্তি দিতে হবে?

শেখ সেলিম বলেন, কূটনৈতিকদের কাছে ছোটাছুটি আরম্ভ করেছে। নির্বাচন হবে আমাদের এখানে, নমিনেশন দিচ্ছে লন্ডন থেকে। সেখানে বাণিজ্য হচ্ছে, তারেকের বিভিন্ন ব্যাংক অ্যাকাউন্টে টাকা যাচ্ছে। নির্বাচনে ইইউ’র কাছে, জাতিসংঘের কাছে ধর্না দিচ্ছে, লবিস্ট করে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করার চেষ্টা করেছে। তারেক জিয়া সন্ত্রাসী, লন্ডনে গিয়ে বিভিন্নভাবে ষড়যন্ত্র করছে। স্বাধীনতার বিরুদ্ধে অপপ্রচার করে যাচ্ছে। অবিলম্বে তাকে ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা করেন।