ড. কামাল বিএনপির সঙ্গ ছাড়বেন, আশা হাছান মাহমুদের

একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত সংগঠন জামায়াতে ইসলামীকে সঙ্গে নিয়ে একাদশ নির্বাচনে যাওয়া ভুল ছিল- জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা ড. কামাল হোসেনের এ বক্তব্যের জন্য তাকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। সেই সঙ্গে বিএনপি জামায়াত না ছাড়লে ড. কামাল বিএনপি জোট থেকে বেরিয়ে আসবেন এমন আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।

রোববার সচিবালয়ে এক সমন্বয়সভায় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। আওয়ামী লীগের এ প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক বলেন, আমি ড. কামাল হোসেন সাহেবকে ধন্যবাদ জানাই। তিনি তার ভুলটি স্বীকার করেছেন। জামায়াতকে সঙ্গে নিয়ে নির্বাচন করাটা ভুল ছিল। তিনি সেই ভুল উপলব্ধি করতে পেরেছেন। এ জন্য তাকে ধন্যবাদ জানাই।

বিএনপি যদি জামায়াতকে জোট থেকে বের করে না দেয়, তবে ড. কামাল বিএনপির সঙ্গে সম্পর্ক চুকাবেন এমন আশাবাদ ব্যক্ত করেন হাছান মাহমুদ।

আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক বলেন, ড. কামাল হোসেনের স্বীকারোক্তিতে এটিই প্রমাণিত হয়- তারা যে রাজনীতিতে পদে পদে ভুল করছেন, সেটি তিনি নিজেই স্বীকার করে নিলেন।

ঐক্যফ্রন্টের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের শপথ নেয়ার আহ্বান জানিয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, তারা আরেকটি ভুল সিদ্ধান্ত নিয়ে বসে আছেন। এই যে তাদের নির্বাচিত সংসদ সদস্যরা এখনও শপথ নেননি। এ ভুল সিদ্ধান্তটিও তারা বদলাবেন, গণতন্ত্রের অভিযাত্রাকে এগিয়ে নেয়ার জন্য, ভোটারদের ভোটের মর্যাদা রক্ষায় অন্তত তারা শপথ নেবেন এমন প্রত্যাশা আমাদের।

প্রসঙ্গত গতকাল এক সংবাদ সম্মেলনে ড. কামাল হোসেন বলেন, তিনি কখনই জামায়াতের সঙ্গে রাজনীতি করেননি। ভবিষ্যতেও করবেন না। তবে একাদশ নির্বাচনে জামায়াতকে সঙ্গী করে নির্বাচনে যাওয়া ভুল ছিল। বিএনপি জামায়াতকে ধানের শীষ প্রতীকে মনোনয়ন দেবে জানলে তিনি দলটির সঙ্গে জোট করতেন না।

সম্প্রচার আইনের বিষয়ে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘সম্প্রচার আইন অনেক দূর এগিয়েছে। গণমাধ্যমে কর্মরত সাংবাদিকদের মর্যাদা বৃদ্ধিতে সরকার আন্তরিকভাবে কাজ করছে। কোনো বিষয়ে সাংবাদিকদের যাতে আতঙ্কে থাকতে না হয়, আমরা সেই ভূমিকা রাখব।’

তিনি বলেন, ‘প্রকৃত সমালোচনা দেশকে সঠিকপথে নিয়ে যায়। সমালোচনাকে সমাদৃত করার চর্চাটা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শুরু করেছিলেন। তিনি দেশবাসীকে যে কোনো বিষয়ে গঠনমূলক সমালোচনা করার আহ্বান জানিয়েছেন।

সভায় আবদুল মালেকসহ মন্ত্রণালয়ের অধীন ১৪ সংস্থার প্রধানরা উপস্থিত ছিলেন।