ঢাকার চিড়িয়াখানায় লাল ক্যাঙ্গারু এলো অস্ট্রেলিয়া থেকে

ঢাকার মিরপুরে জাতীয় চিড়িয়াখানায় এসেছে নতুন দুই অতিথি। দর্শনার্থীদের বিনোদনের জন্য সুদূর অস্ট্রেলিয়া থেকে উড়িয়ে আনা হল দুটি ক্যাঙ্গারু।

পুরনো পশুপাখি ও অন্য প্রাণীর সঙ্গে এখন থেকে থাকবে ওই দুই নতুন প্রাণী। ক্যাঙ্গারু দুটি আজ থেকে দর্শনার্থীদের জন্য অনানুষ্ঠানিকভাবে উন্মুক্ত থাকবে। মঙ্গলবার রাতে এ প্রাণীগুলো বিমানে চড়ে ঢাকায় পৌঁছেছে।

ঢাকা চিড়িয়াখানার কিউরেটর ডা. নজরুল ইসলাম জানান, চিড়িয়াখানাকে নতুনভাবে সাজাতে এবং দর্শনার্থীদের কাক্সিক্ষত বিনোদনে কয়েক বছর ধরে নানা ধরনের প্রাণী আনা হচ্ছে। এরই অংশ হিসেবে বিদেশ থেকে দুটি ক্যাঙ্গারু আনা হয়েছে। বিশ্বে বিভিন্ন রঙের ক্যাঙ্গারু আছে।

লাল রঙের ক্যাঙ্গারু দেখতে সুন্দর। তাই আমরা লাল ক্যাঙ্গারু আনার ব্যবস্থা করেছি। চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ জানায়, দুটি ক্যাঙ্গারুর মধ্যে একটি পুরুষ ও অপরটি মহিলা জাতের। উভয়ের বয়স দেড় বছর। চিড়িয়াখানার মাঝামাঝি স্থানে উটপাখির সেডের পাশে রাখা হবে এগুলো। এদের রাখতে সেড প্রস্তুত করা হয়েছে। ২০ দিন পর আনুষ্ঠানিকভাবে তাদের প্রদর্শিত হবে বলে জানিয়েছেন জাতীয় চিড়িয়াখানার কিউরেটর ডা. নজরুল ইসলাম।

জানা গেছে, এর আগে দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে একটি পুরুষ ও মহিলা জাতের উট আনা হয়েছিল। ইতিমধ্যে ওইগুলো স্থানীয় আবহাওয়ার সঙ্গে নিজেদের মানিয়ে নিয়েছে। ওই প্রাণী দেখতে প্রতিদিন দর্শনার্থী ভিড় করছে বলে জানা গেছে। চিড়িয়াখানার একাধিক কর্মকর্তা জানান, দর্শক বিনোদন দিতে নতুন নতুন প্রাণী আনা হলেও সেগুলো বিদ্যমান আবহাওয়ায় রহস্যজনক কারণে টিকছে না।

এর আগে আরেকবার সরকারি অর্থ ব্যয়ে দুটি ক্যাঙ্গারু আনা হয়। সেগুলো মারা যায়। সম্প্রতি অর্ধকোটি টাকা ব্যয়ে দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে দুটি সাদা সিংহ আনা হয়েছে। এর একটি মারা গেছে। অন্যটি নিঃসঙ্গ ও রোগাক্রান্ত অবস্থায় ঝিমিয়ে দিন কাটাচ্ছে। ২০ লাখ টাকা ব্যয়ে দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে আনা উট দুটিও দেখতে মনে হচ্ছে রোগা।

দেশের সবচেয়ে বড় এই চিড়িয়াখানা ১৯৭৪ সালে ১৮৬ একর জায়গা নিয়ে গড়ে উঠেছে মিরপুরে। এতে মাংসাশি আট প্রজাতির ৩৮টি প্রাণী, ১৯ প্রজাতির তৃণভোজী বৃহৎপ্রাণী ২৭১টি, ১৮ প্রজাতির ক্ষুদ্র স্তন্যপায়ী ১৯৮টি আছে। এ ছাড়াও রয়েছে ১০ প্রজাতির সরীসৃপ প্রাণী ৭২টি, ৫৬ প্রজাতির ১১৬২টি পাখি, অ্যাকুরিয়ামে রক্ষিত মৎস্য প্রজাতির (১৩৬ প্রজাতির) ২৬২৭টি প্রাণী রয়েছে।