ঢাকার নদী-খালগুলো দূষণমুক্ত করতে চায় ভারত

রাজধানী ঢাকার আশপাশে ও অভ্যন্তরীণ নদী-খালগুলো দূষণমুক্ত করতে চায় ভারত। একই সঙ্গে রাজশাহীর গোমতী নদীতে একটি নৌরুটসহ গোদাগাড়ী স্থলবন্দর দ্রুত নির্মাণ করতে চায় দেশটি।

বৃহস্পতিবার (১৬ মে) সচিবালয়ে নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের রাষ্ট্রদূত রিভা গাঙ্গুলী দাসের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ শেষে এসব কথা জানান নৌ পরবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ।

তিনি বলেন, ঢাকার ভেতরে ও আশপাশে যে নৌরুট রয়েছে তা দূষণের ফলে যাত্রীদের আগ্রহ কম। এজন্য রুটগুলোকে দূষণমুক্ত করতে ভারত আগ্রহী। একইসঙ্গে রাজশাহীর গোমতী নদীতে একটি নৌরুটসহ গোদাগাড়ী স্থলবন্দর দ্রুত নির্মাণ করতে চায় ভারত।

ভারত বাংলাদেশের বন্ধুপ্রতীম দেশ বলে উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, দুদেশের মধ্যে অনেক নৌপথ ও স্থলপথ রয়েছে। আবার অনেক পথ ভারতের অর্থায়নে তৈরিও হচ্ছে।

তিনি বলেন, আজ আমরা আলোচনা করেছি রাজশাহীর গোমতী নদীতে একটি নতুন করে নৌরুট ও গোদাগাড়ী স্থলবন্দর নির্মাণের বিষয়ে। ইতোমধ্যে এ বিষয়ে ভারতের পক্ষ থেকে সার্ভে হয়ে গেছে। পরবর্তীতে টেকনিক্যাল পর্যায়ে আরও আলোচনা হবে। এছাড়া ঢাকার ভেতরের নদীগুলোর দূষণ কমানোর বিষয়েও আলোচনা হয়েছে।

ভারতের সঙ্গে নদী ও স্থলবন্দর নির্মাণ হলে দুদেশের মধ্যে যোগাযাগ বৃদ্ধিসহ বাণিজ্য বাড়বে বলে জানিয়ে নৌপ্রতিমন্ত্রী এজন্য অবকাঠামো দুর্বলতা কমানোর ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

এছাড়া সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে নতুন চালু হওয়া ভারত-বাংলাদেশ পর্যটনবাহী জাহাজের বিষয়টির কথা জানান নৌপ্রতিমন্ত্রী। তিনি বলেন, ভারতের সঙ্গে আমাদের সম্প্রতি যে পর্যটনবাহী জাহাজ চালু হয়েছে তা পর্যটন শিল্পকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাবে। তবে পর্যটন জাহাজের ধারণ ক্ষমতা ৫০০ থাকলে যাত্রী যায় সাত থেকে ১০ জন, এটা স্বাভাবিক বিষয়। পর্যটন খাতে সবসময় আর্থিক বিবেচনা করলে চলবে না। এখন মানুষের মধ্যে আগ্রহ অনেক বেড়েছে।

এছাড়া পর্যটক বাড়াতে হলে অবকাঠামো বাড়ানোর ওপর গুরুত্বারোপ করে মন্ত্রী বলেন, নৌপথে পর্যটকরা যেখানে নামতে চায়, সেসব স্থানগুলোতে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ও অবকাঠামো নির্মাণ করতে হবে।