ঢাকায় কুকুর হত্যায় সর্বোচ্চ কারাদণ্ড নিরাপত্তাকর্মীর

দুটি মা কুকুরকে পিটিয়ে অর্ধমৃত অবস্থায় ও ১৪টি দুধের বাচ্চাকে জীবিত পুঁতে ফেলার মামলায় রামপুরার বাগিচারটেক কল্যাণ সমিতির নিরাপত্তাকর্মী ছিদ্দিককে ছয় মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার ঢাকা মহানগর হাকিম মোহাম্মদ আহসান হাবীব এ রায় ঘোষণা করেন। কারাদণ্ডের পাশাপাশি ছিদ্দিককে ২০০ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। অনাদায়ে আরও সাত দিনের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। প্রাণী হত্যার দায়ে বাংলাদেশে এটাই সর্বোচ্চ সাজার রায়।

জানতে চাইলে মামলার বাদীপক্ষের আইনজীবী মিনু রানী রায় যুগান্তরকে বলেন, প্রাণী হত্যার দায়ে বাংলাদেশে এটাই সর্বোচ্চ সাজার রায়। এর আগে দু’একটি মামলায় ৫০-১০০ টাকা জারিমানা হয়েছে। তবে তাৎক্ষণিক আসামিরা ওই জারিমানা দিয়ে আদালত থেকে রেহাই পেয়েছেন। কিন্তু এ মামলায় আইন অনুসারে সর্বোচ্চ সাজা হয়েছে। এ রায়টি বাংলাদেশের জন্য একটি দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে।

তিনি আরও বলেন, বন্যপ্রাণী রক্ষার আইনটি অনেক পুরনো। এ আইনের সংস্কার প্রয়োজন। প্রাণী হত্যাকারীদের কঠোর বিচার হলে অপরাধীরা নিরুৎসাহিত হবে।

আদালত সূত্র জানায়, রামপুরার বাগিচারটেক কল্যাণ সমিতির নিরাপত্তাকর্মী ছিদ্দিক ২০১৭ সালের ২৫ অক্টোবর রাত আনুমানিক ১০টা থেকে ১১টার মধ্যে রামপুরা থানাধীন বাগিচারটেক ৩৫/২ নম্বর বাড়ির পাশের খালি প্লটে থাকা দুটি মা কুকুর ওই ২টি কুকুরের ১৪টি বাচ্চাকে লোহার রড দিয়ে পেটায়। মা কুকুর দুটিকে অর্ধমৃত অবস্থায় পা বেঁধে এবং ১৪ কুকুরের বাচ্চাকে বস্তায় ভরে বাড়ির পাশে মাটি চাপা দেয়।

ওই ঘটনায় ১ নভেম্বর রাজধানীর রামপুরা থানায় পিপল ফর এ্যানিমেল ওয়েল ফেয়ার ফাউন্ডেশনের ফাউন্ডার চেয়ারম্যান রাকিবুল হক এমিল বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। ১৯২০ সালের প্রাণীর প্রতি নিষ্ঠুরতা আইনের ৭ ধারায় মামলাটি দায়ের করা হয়। তদন্ত শেষে গত ৩০ নভেম্বর রামপুরা থানার এসআই নাছির উদ্দিন আদালতে এ মামলার চার্জশিট (অভিযোগপত্র) দাখিল করেন। চলতি বছরের ১৯ এপ্রিল আসামির বিরুদ্ধে চার্জ (অভিযোগ) গঠন করেন আদালত। মামলায় মোট ১৫ জন সাক্ষীর মধ্যে ৬ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ হয়েছে।