ঢাকায় ১৯৯ মিলিমিটার বৃষ্টির রেকর্ড, ঝরবে আজও

নিম্নচাপের প্রভাবে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় আজ শনিবারও বৃষ্টি হবে। কোথাও থেমে থেমে, কোথাও টানা ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি হবে বলে আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে। চট্টগ্রাম, মোংলা, পায়রা সমুদ্রবন্দর ও কক্সবাজারে আজও ৩ নম্বর সতর্কসংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। নৌবন্দরগুলোকে ২ নম্বর সতর্কতাসংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্যমতে, গত বৃহস্পতিবার সকাল ছয়টা থেকে আজ সকাল ছয়টা পর্যন্ত ঢাকায় ১৯৯ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। গতকাল শুক্রবার সকাল ছয়টা থেকে আজ সকাল ছয়টা পর্যন্ত—এই ২৪ ঘণ্টায় কেবল বৃষ্টি হয়েছে ১৪৯ মিলিমিটার।

শুধু রাজধানী নয়, দেশের বেশির ভাগ এলাকায় গতকাল কমবেশি বৃষ্টি হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় সবচেয়ে বেশি বৃষ্টি হয়েছে গোপালগঞ্জে—২৭১ মিলিমিটার।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ আবুল কালাম মল্লিক বলেন, বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হওয়া নিম্নচাপটি এখন পর্যন্ত স্থল নিম্নচাপ হিসেবে পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের দক্ষিণ–পশ্চিম এলাকাজুড়ে বিস্তৃত রয়েছে। এর প্রভাবে আজ সারা দিনই বৃষ্টি হবে। কোথাও থেমে থেমে, কোথাও টানা ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি হবে। আগামীকাল রোববার থেকে রৌদ্রোজ্জ্বল দিনের সম্ভাবনা রয়েছে।

গত ২৪ ঘণ্টায় বিভাগীয় শহরগুলোর মধ্যে খুলনায় ১৬৩, বরিশালে ১৮৬, রাজশাহীতে ৯২, ময়মনসিংহে ১০০, চট্টগ্রামে ১০, সিলেটে ৮ ও রংপুরে ৮৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।

গতকাল রাত থেকেই পাটুরিয়া, মাওয়াসহ বিভিন্ন নৌপথে ফেরি চলাচল বন্ধ রয়েছে। বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন সংস্থার (বিআইডব্লিউটিসি) সহকারী মহাব্যবস্থাপক খালেদ নেওয়াজ প্রথম আলোকে বলেন, রাত ১১টা থেকে এখন পর্যন্ত ফেরি চলাচল বন্ধ। বৈরী আবহাওয়ার কারণে মুন্সিগঞ্জের লৌহজংয়ের শিমুলিয়া ও মাদারীপুরের শিবচরের কাঁঠালবাড়ি নৌপথে ফেরি পারাপার বন্ধ রয়েছে। পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করছে কখন চালু হবে।

বৈরী আবহাওয়ার কারণে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌপথেও ফেরি পারাপার বন্ধ রাত দুইটা থেকে। এসব নৌপথে সব ধরনের লঞ্চ চলাচলও বন্ধ। মাওয়ায় স্পিডবোট চলাচল বন্ধ রয়েছে।

তবে সদরঘাট থেকে চাঁদপুর, বরিশাল রুটে বড় লঞ্চগুলো ছাড়ছে। ৬৫ ফুটের নিচে লঞ্চগুলো ছাড়ছে না। সাগর উপকূলের নৌপথ হাতিয়া, রাঙ্গাবালীতে সব ধরনের লঞ্চ চলাচল বন্ধ জানিয়ে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) যুগ্ম পরিচালক জয়নাল আবেদীন প্রথম আলোকে বলেন, বড় লঞ্চ ছাড়লেও যাত্রী একেবারেই কম।

শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর দিয়ে সব আন্তর্জাতিক ও অভ্যন্তরীণ ফ্লাইট নির্ধারিত সময় ছেড়ে গেছে বলে এখন পর্যন্ত জানা গেছে।