ঢাকা উত্তরে আ.লীগের ‘সংকেত’ পেয়েছি : আতিকুল

ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র পদে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে তৈরি পোশাক শিল্প মালিকদের সংগঠনের (বিজিএমইএ) সাবেক সভাপতি আতিকুল ইসলামকে মনোনয়ন দেয়ার বিষয়টি প্রায় চূড়ান্ত। ইতোমধ্যে এ বিষয়ে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দেখাও করেছেন তিনি। এখন প্রস্তুতি নিচ্ছেন নির্বাচনের।

ডিএনসিসির নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে এ ব্যবসায়ী নেতা বলেন, আনিসুল ভাইয়ের (প্রয়াত মেয়র আনিসুল হক) জায়গায় প্রধানমন্ত্রী আমাকে মেয়র প্রার্থী হিসেবে পছন্দ করেছেন। তাই আমার প্রথম কাজ হবে আনিসুল হকের অসমাপ্ত কাজ সম্পূর্ণ করা। তার দেখা স্বপ্নের ঢাকা বাস্তবায়ন করা। আর তা করতে পারলেই আনিসুল হকের আত্মা শান্তি পাবে। ঢাকাবাসীও স্বস্তি পাবে।

আতিকুল ইসলাম ২০১৩ সালে বিজিএমইএ-র সভাপতি নির্বাচিত হয়েছিলেন। বর্তমানে তিনি ইসলাম গার্মেন্ট লিমিটেডের পরিচালক।

সম্প্রতি আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর বৈঠকে ডিএনসিসি নির্বাচন নিয়ে আলোচনা হয়। এ পদে সম্ভাব্য প্রার্থীদের মধ্যে হাইকমান্ডের পছন্দের শুরুতেই ছিলেন বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদের ছেলে সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী তানজিম আহমেদ সোহেল তাজ। এছাড়াও তালিকায় ছিলেন ঢাকা-৯ আসনের এমপি সাবের হোসেন চৌধুরী, আওয়ামী লীগের ঢাকা মহানগর উত্তরের সভাপতি একেএম রহমতুল্লাহ, ব্যবসায়ী আব্দুস সালাম মুর্শেদী, চিত্রনায়িকা সারাহ বেগম কবরী, সাবেক সাংসদ এইচ বি এম ইকবাল, এফবিসিসিআই’র সাবেক প্রেসিডেন্ট ও হা-মীম গ্রুপের কর্ণধার একে আজাদ।

তবে বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী আতিকুল ইসলাম ‘কেমন হয়’ বলে সদস্যের কাছে জিজ্ঞেস করেন। এরপর সদস্যরা তাকে সবুজ সংকেত দেন।

ঢাকাবাসীর প্রতি আপনার প্রত্যাশা কী জানতে চাইলে আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘ভোটাদের প্রতি আমি আহ্বান করবো আমাকে ভোট দিয়ে জয়ী করবেন। সবার দোয়া থাকলে অবশ্যই আমি জয়ী হবো। স্বপ্নের ঢাকা প্রত্যাশার ঢাকা বির্নিমাণে আমি কাজ করবো।’

২০১৫ সালের ২৮ এপ্রিল মেয়র নির্বাচনের মাধ্যমে ঢাকা উত্তর সিটির নগরবাসীর সেবার দায়িত্ব নেন আনিসুল হক। দুই বছরের বেশি সময়ে সবার মন জয় করে মেয়রের দায়িত্ব পালন করেন তিনি। তবে লন্ডনে প্রায় ৪ মাস গুরুতর অসুস্থ থাকার পর ৩০ নভেম্বর ঢাকাবাসীর কাছ থেকে চিরবিদায় নেন তিনি।

৪ ডিসেম্বর আনিসুল হকের মেয়র পদ শূন্য ঘোষণা করে গেজেট জারি করে ডিএনসিসি। এরপর থেকে নির্বাচন কমিশন এবং প্রধান দুই রাজনৈতিক দল মেয়র নির্বাচনের প্রস্তুতি শুরু করেছে।